শরীরেকোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দিতে পারে ভাইরাসজনিত রোগের ওষুধ ‘রেমডেসিভির’। এমনটাই দাবি করলেন আমেরিকার শীর্ষ স্তরের এক বিজ্ঞানী এপিডেমিওলজিস্ট অ্যান্টনি ফাওচি।
আমেরিকান সরকারের সংক্রামক ব্যাধি বিষয়ক শীর্ষ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি বলছেন করোনাভাইরাসের পরীক্ষমূলক চিকিৎসায় ট্রায়াল রান দিয়ে অর্থাৎ রোগীর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে প্রাথমিক যে ফলাফল পাওয়া গেছে তাতে তিনি আশাবাদী।
জিলেড নামের একটি আমেরিকান ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধ রেমডিসিভির নিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে, তবে কোন তথ্য-প্রমাণ দেয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, রেমডেসিভির কতটা কার্যকরী হচ্ছে, তা বোঝার জন্য আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার ৬৮টি জায়গায় ১ হাজার ৬৩ জন করোনা রোগীর উপর তা প্রয়োগ করে চালানো হয়েছিল ট্রায়াল। তাঁর মন্তব্য, “দেখা গিয়েছে, করোনা রোগীদের শরীরে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ রুখে দিতে পারে রেমডেসিভির।”
উল্লেখ্য যে, এই রেমডেসিভির আটের দশকে ভাইরাস এইচআইভি-র সংক্রমণ রুখতে ততটা কার্যকরী হতে পারেনি। এমনকী, ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতেও ব্যর্থ হয়েছিল রেমডেসিভির।
গত বছর চিনের উহান প্রদেশে প্রথম যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের উপর এই রেমডেসিভিরই প্রয়োগ করা হয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (‘হু’)। গত সপ্তাহে হু জানায়, সে ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছিল রেমডেসিভির। যদিও এ বারের মার্কিন পরীক্ষার মতো হু সেই ট্রায়াল খুব বেশি সংখ্যক করোনা রোগীর উপর চালায়নি। সেই ট্রায়াল শুধু একটি দেশের একটি প্রদেশের অল্পসংখ্যক করোনা রোগীর ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল।
তবে হু-র এক পদস্থ কর্তা মিশেল রায়ান বুধবার ফাওচির এই দাবি নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তিনি শুধু এইটুকুই বলেছেন, “এখনও ওই ট্রায়ালের খুঁটিনাটি আমার খতিয়ে দেখা হয়নি।”