ডিপ্রেশনঃ ভুল ধারনা এবং বাস্তব

0
192
ডিপ্রেশনঃ ভুল ধারনা এবং বাস্তব

ভুল ধারনাঃ ডিপ্রেশন বা অবসাদ একধরনের দুর্বলতা। এটি কোন রোগ নয়।
বাস্তবঃ  ডিপ্রেশন দুর্বলতা বা আলস্য না। এটি একপ্রকারের গম্ভীর মানসিক সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। ডিপ্রেশন বা অবসাদ যে কোন মানুষের যে কোন বয়েসে হতে পারে।

ভুল ধারনাঃ অপুষ্টি আর দারিদ্রের সঙ্গে ডিপ্রেশনের কোন সম্পর্ক নেই।
বাস্তবঃ অপুষ্টি ডিপ্রেশনের একটি কারণ। শালীজাতীয় খাবার (কার্বোহাইড্রেট) শরীরে সেরোটোনিন এবং ট্রিপ্টোফ্যান রসায়ন সঞ্চারে সাহায্য করে যা সুস্থ থাকার জন্য দরকারি।

ভুল ধারনাঃ ডিপ্রেশন বা অবসাদ বংশগত এবং ডিপ্রেশনে ভোগা ব্যক্তিদের বিয়ে করা উচিৎ না।
বাস্তবঃ  এই ধারনা কোন গবেষণা দ্বারা এখন অবধি প্রমাণিত হয়নি। ডিপ্রেশনে আক্রান্ত মানুষের পক্ষে স্বাভাবিক বিবাহিত জীবনযাপন করা সম্ভব। তবে বিয়ের আগে ভাবী স্বামী বা স্ত্রী-কে এই সমস্যার কথা জানিয়ে দেওয়া উচিৎ।

ভুল ধারনাঃ ডিপ্রেশন বিশেষ ধরনের জীবন ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
বাস্তবঃ  জীবনে ঘটা সব ধরনের ঘটনা থেকেই ডিপ্রেশন হবে এমন ভাবনার কোন যুক্তি নেই। সামাজিক অসহযোগিতা, তাচ্ছিল্য বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা যেমন হৃদরোগ, ক্যানসার, এইচ আই ভী, থাইরএড ইত্যাদি থেকে ডিপ্রেশনের সূত্রপাত হতে পারে।

ভুল ধারনাঃ অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ খেলেই ডিপ্রেশন সেরে যায়।
বাস্তবঃ  ডিপ্রেশনের প্রাথমিক পর্যায়ে ওষুধ খেতে নাও হতে পারে। সাইকোথেরাপি বা কাউন্সেলিং-এর সাহায্যে ডিপ্রেশন আয়ত্তের মধ্যে রাখা সম্ভব।

ভুল ধারনাঃ আত্মহত্যার সঙ্গে ডিপ্রেশনের কোন সম্পর্ক নেই।
বাস্তবঃ প্রথমত আত্মহত্যার সঙ্গে জড়িত নানা ধরনের ভুল ধারনা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল হওয়া উচিৎ। ডিপ্রেশনের চূড়ান্ত পর্যায়েই যে আত্মহত্যার কথা রোগীর মাথায় আসবে, এমন নয়। তাই রোগীর পরিবারবর্গ এবং বন্ধুবান্ধবদের সব সময় সজাগ এবং সতর্ক থাকতে হবে যাতে কথাবার্তা বা ব্যাবহারে সামান্যতম পরিবর্তনের দিকে লক্ষ্য রাখা হয়। রোগী কোন মারাত্মক পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই যেন তাঁকে আটকানো যায়।

ভুল ধারনাঃডিপ্রেশনে আক্রান্ত বেশীরভাগ মানুষ কোন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন।
বাস্তবঃ যদিও বেশি সংখ্যক ডিপ্রেশনের রোগী চিকিৎসার সাহায্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন, দুই-তৃতীয়াংশ রোগীই মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে সঙ্কোচ বোধ করেন। এমনকি, যারা গভীরভাবে ডিপ্রেশনে আক্রান্ত, তাঁরাও মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে চান না। অনেক রোগী এক দশক বা তাঁর বেশি সময় ধরে ডিপ্রেশনের সাথে একলা লড়াই করে তবেই বিশেষজ্ঞের কাছে যান। ডিপ্রেশনের রোগী যত তাড়াতাড়ি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন, সাইকো থেরাপি, ওষুধ এবং অন্যান্য পদ্ধতির সাহায্যে তত তাড়াতাড়ি ডিপ্রেশনকে আয়ত্তের মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব।

করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

Previous articleসম্পর্কে মানসিক দূরত্ব কমাতে যা করতে পারেন
Next articleগভীর রাতে জিনিসপত্র ভাঙে এবং বউকে মারে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here