বাংলার ক্রিকেটে ধ্রুব তারা হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন সৌম্য সরকার। তার নান্দনিক সটগুলোর কারণে বাংলাদেশ ছাড়াও তার সুনাম শোনা যাচ্ছিলো অন্যান্য দেশের ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মুখে।
বাংলার ক্রিকেটে সৌম্যের ক্যারিয়ার সাত বছর অতিবাহিত হলেও কনফিডেন্সের অভাবে এখনো জাতীয় দলে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করতে পারেননি তিনি। একজন ক্রিকেটার হিসেবে এটা খুবই হতাশা জনক।
ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে সৌম্যের ভেতরে কনফিডেন্স এর যথেষ্ট অভাব রয়েছে এবং যথেষ্ট মানসিক চাপে ভুগছেন তিনি। যখনই ব্যাট করতে আসেন প্রায় সময়ই দেখা যায় অনেক প্রেশারে থাকেন তিনি। কোন বল মারবেন আর কোন বল ছাড়বেন কিছুই যেনো বুঝে উঠতে পারছেন না সৌম্য সরকার। আর এসব কারণেই তিনি ধারাবাহিকতায় ভুগছেন।
যার উদাহরণ হিসেবে শেষ তিনটা সিরিজ উল্লেখ করা হয়। সৌম্য যখন জিম্বাবুয়ের সাথে খেলেছিলেন তাকে যথেষ্ট কনফিডেন্ট মনে হয়েছিল। সে যেই সটগুলো খেলেন প্রায় সব সটগুলোর মধ্যেই কনফিডেন্ট মনে হয়েছিলো। যার ফলে তার ব্যাট এ রান এসেছিলো।
কিন্তু মূদ্রার উল্টো পিঠও পরের সিরিজে দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সৌম্য সরকারের মধ্যে আর সেই কনফিডেন্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রত্যেক ম্যাচেই বাজে সট খেলে আউট হয়েছেন। ব্যর্থ সৌম্য সরকার।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি সৌম্য সরকার। চার ম্যাচ পর দলে ফিরে মাত্র ৪ রানেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন এ তারকা ব্যাটসম্যান।
কিন্তু নতুন খবর হচ্ছে টি-২০ তে শেষ ৬টি ম্যাচের মোট রান হিসেব করলে দেখা যায়, সৌম্য ৬ ম্যাচ মিলিয়ে করেছেন মাত্র ৩২ রান। যা কিনা ১০ নাম্বারে নেমে ব্যাটিং করা তাসকিনের চেয়েও কম। তাসকিন আহমেদ শেষ ৬ ম্যাচে রান করেছেন ৩৩ রান।
সামনের বিশ্বকাপে যদি ভালো করতে না পারেন তবে সৌম্য বাংলার ক্রিকেটে আরেকজন সাব্বির কিংবা নাসির এর মত আক্ষেপ হয়ে থাকবেন। হারিয়ে যাবেন তাদের মত। আর সেটা আমরা কখনোই চাইনা।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে