উদ্বেগ নানাভাবে দেখা দিতে পারে, তবে উদ্বেগ ভিন্ন ধরণের হলেও এর নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে। প্রায় সব মানুষ অন্যান্য অনেক মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মতো কোনো না কোনো সময় উদ্বেগের অভিজ্ঞতা লাভ করে। এ সমস্যাটি মূলত উদ্বেগের পরিমাণ এবং বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে।
দৈনন্দিন মানসিক চাপজনিত উদ্বেগ স্বাভাবিক, কিন্তু তুলনামূলক সামান্য কোনো ঘটনায় তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ ব্যক্তিকে মানসিকভাবে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মানুষের একটি বড় অংশ প্রায়ই ঘুমের সমস্যা এবং পেশীর খিচুনিজনিত সমস্যার কথা উল্লেখ করে থাকে। এটি হতে পারে কোনো চাকুরির ইন্টারভিউয়ের পূর্বে, হাসপাতাল কিংবা কোনো মানসিক চাপমূলক ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার পূর্বে। তবে খুব ছোট কোনো বিষয়ে বারবার এবং মাত্রাতিরিক্ত উদ্বেগ গুরুতর কোনো লক্ষণকেই নির্দেশ করে।
এখানে উদ্বেগের ৪টি সাধারণ মানসিক লক্ষণ উল্লেখ করা হলোঃ
- আতঙ্ক, ভয় এবং অস্বস্তি অনুভব করা।
- বিশ্রামহীনতা এবং “খাদের কিনারে পৌঁছে গেছি” এমন মনে হওয়া।
- ঘন ঘন শঙ্কা অনুভব করা।
- কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে না পারা।
এছাড়াও উদ্বেগের আরো ৬টি শারীরিক লক্ষণ হলোঃ
- পেশীতে খিচুনি।
- ঘুমের সমস্যা।
- মুখের ভেতর শুষ্ক অনুভব করা।
- নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।
- বুক ধড়ফড় করা।
- মাথা ঘোরা।
যদিও এই ১০টি লক্ষণ সবধরণের উদ্বেগকে নির্দেশ করে না, মানুষ বিভিন্ন সময় অনেক শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার কথা বলতে থাকে। কারো ক্ষেত্রে অনেক লক্ষণ দেখা যায়, আবার কারো ক্ষেত্রে এর পরিমাণ কম। উদ্বেগ নির্ণয় করার উপায় হলো লক্ষণের ব্যাপ্তিকাল এবং সেগুলো কীভাবে দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করছে, তা পর্যবেক্ষণ করা।
যারা তীব্র উদ্বেগ বোধ করে, তাদের বিভিন্ন ধরণের সাহায্য প্রয়োজন হয়ে থাকে। বিভিন্ন মনোবৈজ্ঞানিক থেরাপি সাধারণত উদ্বেগজনিত ডিসঅর্ডারের চিকিৎসায় ভালো ফল দেয়।
তথ্যসূত্র: স্পিং ডট অর্গ ডট ইউকে-তে প্রকাশিত এর রচনা অবলম্বনে লিখেছেন সুপ্তি হাওলাদার।
লিংক: https://www.spring.org.uk/2016/06/10-common-signs-anxiety-disorders.php