ঘর থেকেই শুরু হোক যৌন হয়রানি নির্মূলন

0
30

আমাদের সমাজে এখন প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের পাশাপাশি কিংবা কিছুক্ষেত্রে তাদের থেকেও বেশি যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে শিশুরা। শিশুদের এই যৌন হয়রানির জন্য যদি সমাজকে দোষারোপ করা হয়ে থাকে। তাহলে এই নির্মূলের দায়ও সমাজের উপরই বর্তায়। ঠিক এ কারণেই পিতামাতার উচিত যৌনতা নিয়ে শিশু কিশোরদের যথাযথ শিক্ষা দেওয়া। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি সেক্স এডুকেশনও এখন জরুরি হয়ে পড়েছে শিশুদের জন্য। বরং সেক্স এডুকেশনকে বাধ্যতামূলক করে দেয়া উচিত এবং যার শুরু হওয়া উচিত ঘর থেকে। এতে করেই সমাজ থেকে যৌন হয়রানি কিছুটা হলেও দূর করা যাবে।
বেশিরভাগ পিতামাতাই তাদের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে যৌনতা নিয়ে কথা বলতে সঙ্কোচবোধ করে থাকেন। আলোচনার ক্ষেত্রে এই বিষয়টা যেনো তাদের কাছে ধূসর ও ধোঁয়াটে। বরং তা পরিহার করে মুক্তভাবে আপনার সন্তানের সঙ্গে এ বিষয় আলোচনা করুন। সন্তানকে সঠিক জ্ঞান দিন। কেননা বেশিরভাগ ছেলে সন্তানই সঠিক জ্ঞানের অভাবে ও যথাযথ শিক্ষা বোধের অভাবে যৌন হয়রানি করে থাকে। তাই আপনার সন্তান সঙ্গে এ বিষয় আলাপ করুন। আলাপচারিতা সঠিক ও সহজাত করতে তাদের সঙ্গে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারেন, তা নিচে তুলে ধরা হলো।
ফ্লার্টিং করাটা ঠিক কতখানি গ্রহণযোগ্য?
ফ্লার্টিং ঠিক কখন, কতটুকু পর্যন্ত করা উচিত কিংবা আদোতেও উচিত কী না?
সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স কখন শুরু হয় এবং শেষ হয়?
যৌন আত্মতৃপ্তি কী? কখন এবং কিভাবে নিজের সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে করা উচিত?
ইন্টারকোর্স এবং ওরাল সেক্সের তফাৎ বলুন ও তার ফলে কী কী সমস্যা হতে পারে এ নিয়ে আলোচনা করুন।
এখন সেক্স এডুকেশন আমাদের কাছে এক ধরনের ট্যাবু। কিন্তু এরপরও প্রতিটা বাবা-মায়ের উচিত এ নিয়ে সন্তানের সঙ্গে আলোচনা করা এবং সঠিক জ্ঞান দেয়া। কেমন হবে যদি আপনি জানতে পারেন, আপনার কন্যার অর্গাজম নিয়ে কোনো ধারণাই নেই অথচ সে যৌন সম্পর্কে সম্পৃক্ত? কিংবা আপনার ছেলে জোরপূর্বক আরেক মেয়েকে যৌন হয়রানি করছে নিজের কৌতুহল মেটাতে?
সেক্সুয়াল এডুকেশন জনসাধারণের শিক্ষা। আমরা একে গোপন রেখে চলি বলেই আমাদের সমাজে যৌন হয়রানির পরিমাণ অহরহ বেড়ে চলছে। আপনার সন্তান হতে পারে আপনার সঙ্গে এ বিষয় আলাপ করতে অস্বস্থি বোধ করছে। তাই, নিজের সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন। এতে সমস্ত জড়তা কেটে যাবে এবং নিজ সন্তানকে যৌনতা নিয়ে সঠিক জ্ঞান দিতেও সক্ষম হবেন।
 
তথ্যসূত্র: দ্য স্টার।
অনুবাদটি করেছেন ইফ্ফাত আরা মুনিয়া।

Previous articleভাং ব্যবহারের সঙ্গে 'হৈচৈপূর্ণ' মস্তিষ্ক সম্পর্কিত
Next articleভাস্কর্য একটি সাধনা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here