সারাক্ষণ ঘরে বন্দি থাকলে যে কেউ-ই অস্থির হয়ে যাবেন। অফিস, ক্লাস, বন্ধু, আড্ডা, ঘোরাঘুরি- সব শিকেয় তুলে সারাক্ষণ সংক্রমণের ভয়ে বাড়িতে থাকা একঘেয়ে হয়ে উঠবে দ্রুতই। সারাদিন ছকে বাঁধা কাজ করতে গিয়ে ডিপ্রেশনও চলে আসতে পারে।
এদিকে যারা বাড়িতে বসেই অফিসের কাজ করছেন তাদেরকে একইসঙ্গে বাড়ি ও অফিস সামলে চলতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। একদিকে অফিসের কাজের চাপ, আরেকদিকে সংসারের কাজের চাপ- এই দু’মুখো চাপে পড়ে মাথা ঠান্ডা রাখা দায়। ফলে সবকিছুর প্রতি সহজেই বিরক্তি চলে আসছে। এমনকী এর প্রভাব পড়ছে দাম্পত্য সম্পর্কেও। সঙ্গীর সঙ্গে খিটিমিটি করাটা যেন অভ্যাসে এসে দাঁড়িয়েছে!
আপনার সংসারেও কি এই একই চিত্র? বাড়িতে বন্দি থাকতে থাকতে আপানর সঙ্গীও কি এমন বিরক্ত? গোমড়া মুখে মনমরা হয়ে বসে থাকছেন? এক্ষেত্রে তার পাশে থাকতে হবে আপনাকেই। দু’টি ভালো কথা, একটু ভালোবাসা আর ভবিষ্যৎ ভাবনার আদান-প্রদানে কেটে যাক মন খারাপের মেঘ-
তার আচরণগুলো খেয়াল করুন: বাইরে ঘোরাঘুরি, বেড়ানো, সিনেমা দেখা, গলির মোড়ে চা খাওয়া- সব বন্ধ বলে কি আপনার সঙ্গীর মনে বিষণ্নতা জমাট বেঁধেছে? তার মন খারাপের কারণ এসব হলে চিন্তার কিছু নেই। আপনি বরং মন খুলে তার সঙ্গে গল্প করুন, ভাবনাগুলো ভাগাভাগি করুন। ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে।
বাড়ির পরিবেশ হাসিখুশি রাখুন: হঠাৎ আসা বিপদে পুরো বিশ্ববাসী নাজেহাল। এই ধাক্কা সামলানো সবার জন্যই কষ্টকর। তাই আচরণে পরিবর্তন আসাও অস্বাভাবিক নয়। সামলে নেয়ার ক্ষমতাও সবার সমান হয় না। তাই তার আচরণে অধৈর্য না হয়ে তাকে বুঝিয়ে বলুন। বাড়ির পরিবেশ যেন গুমোট হয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
ভাগ করে নিন সংসারের কাজ: বাড়ির কাজগুলো দু’জনে ভাগ করে নিন। সব কাজ একা করতে যাবেন না যেন! যার যে কাজে দক্ষতা বেশি, তাকে সেটা করতে দিন। নানারকম কাজে ব্যস্ত থাকলে সময়টা ভালো কাটবে নিঃসন্দেহে।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা: এই একঘেয়ে সময় একদিন শেষ হবে। নতুন সেই দিনগুলো কেমন হবে তা নিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করুন। কোথায় বেড়াতে যাবেন, কোন কাজগুলো আগে করবেন তা ঠিক করে নিন। আগামীর সুন্দর ভাবনা আপনার বর্তমানকেও রঙিন করবে।
হাসিখুশি থাকুন: বিষণ্নতা ছোঁয়াচে অসুখের মতো। একজনের দেখাদেখি অপরজনকেও দ্রুত বিষণ্ন করে দেয়। তাই তার বিষণ্নতা যেন আপনাকে ছুঁয়ে দিতে না পারে। বরং উল্টোটা করুন। আপনি আরও বেশি হাসিখুশি থাকুন যেন আপনার দেখাদেখি আপনার সঙ্গীও হাসিখুশি থাকেন।