করোনা নামের ভাইরাস আজ সকলের কাছে হতাশার বিষয়। সবাই এ হতাশার বিষয় করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে কম বেশি জেনে গেছে। চারদিকে করোনার প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব সম্পর্কে আন্দাজ করতে পারছেন। এরকম ক্ষতির শিকার হচ্ছেন বেকার বা চাকরি প্রত্যাশীরা।
করোনার প্ররিস্থিতির কারনে তাদের দুশ্চিন্তার সীমা নেই বললেই চলে। এমনিতেই বেকারগ্রস্থতার কারণে তারা হতাশায় ডুবে আছে, এর মধ্যেই করোনা বিশাল এক বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হতাশায় একরকম হাবুডুবু খাচ্ছে তারা। কারণ, সময় বাড়ার সাথে সাথে তাদের উপর আশা করে থাকা পরিবারের দুশ্চিন্তাও বাড়ছে।
চাকরি প্রত্যাশী রবিউল আলম জানিয়েছেন, স্নাতকোত্তর শেষ করার পর থেকেই সরকারি চাকরির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তার বয়স ৩০ পার হতে অল্প কয়েকমাস আছে, এর মধ্যে তার ২ লিখিত আর ভাইবা পরীক্ষা হবার কথা ছিল, কিন্তু করোনার পরিস্থিতির কারণে তা আটকে গেছে। মার্চ ও এপ্রিল মাসে কোন চাকরির বিজ্ঞপ্তি হয়নি। কিন্তু সময় তো আর থেমে নেই। তার চাকরি পাওয়ার বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে, দুশ্চিন্তাও চরম আকার ধারন করছে। কারন তার পরিবারও তার একটি ভালো চাকরির প্রত্যাশায় আছে। এভাবে যদি আরও কিছু সময় চলে যায়, তাহলে তো তার ও নাম বেকার এর খাতায় লিখা হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করা ইসরাত জাহান জানান, ৪১ তম বিসিএস এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল,এর আগে ৪০ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু এখন সময়গুলো অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটছে। তার একবারেই পড়াশোনা হচ্ছে না। টিউশনি করে পরিবারকে সহায়তা করতো, এখন সেটাও বন্ধ। এরকম চাকরিপ্রত্যাশী আরেকজন মুস্তাফিজুর রহমান। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে বিভিন্ন ট্রেনিং,কোর্স করছিল, কিন্তু করোনার বাধায় সব স্থগিত হয়ে গেছে। তাদের এধরনের পরিস্থিতির মতো অন্যান্য চাকরিপ্রত্যাশী বা বেকারদেরও একই অবস্থা। এই পরিস্থিতি তাদের শারীরিক থেকেও মানসিক ঘাটতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
অনেকেই করোনার কারণে তাদের প্রত্যাশিত চাকরি থেকে বঞ্চিত হবেন। এ পরিস্থিতিতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি বেকার হওয়ার আশংকা ও তাদের মধ্যে কাজ করছে। আর এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সেটা কবে হবে, এর পরের সময়গুলোতে চাকরি পাবে কিনা, এসব কিছুই তাদের মানসিক অবস্থাকে বিষাদময় করে তুলছে। আর এসব পরিস্থিতিতে সকলের সহযোগিতাই তাদের একমাত্র কাম্য।
লিখেছেন: সৈয়দা মুমতাহিনাহ সোনিয়া