কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে

সর্বোপরি এক সপ্তাহের পার্টি আর নবীনরণ কার্যক্রমের পর এখন পোস্ট সেকেন্ডারি ছাত্রছাত্রীরদের উদ্যোগী হয়ে কাজে ফিরে যাওয়ার সময়। বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ যত মজার হোক না কেন, সাথে এটি আরো অনেক কার্যক্রমের বোঝা নিয়ে আসে এবং ব্যবস্থাপনার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে চাপ সৃষ্টি হয়। এতে ছাত্রছাত্রীদের মনোবল কমে যায় এবং তাদের মানসিক স্বাস্থে প্রভাব পরে। গুয়েলফ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেন গত বছরের কিছু হৃদয় বিদারক ঘটনার পর স্কুলের সংস্কৃতির বড় অংশ হিসেবে মানসিক স্বস্থ্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। বিশেষ করে যেসব ছাত্র ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে থাকে তাদের দিকে বেশি নজর দেয়া হয়।
স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শদাতা স্কুল ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রেন্ডা হোয়াইটসাইড বলেন, “গ্রীষ্মের সময় শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা যখন বিশেষভাবে সাক্ষাৎ করি, তখন তারা সামাজিক প্রচার মাধ্যম আলাদাভাবে ব্যবহার করেন বলে জানান, আলাদাভাবে ব্যবহারের কারণ তারা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কোথায় আছে জানতে চায়”।
২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের মধ্যে ৪ ক্যাম্পাসে যে আত্মহত্যা গুলো হয়েছে তারপর স্কুলটির দাক আসে কিছু করার জন্য। সেখানে একটি ডিজিটাল পিটিশন ও  ছিল, এটি ছাত্ররা শুরু করে প্রশাসনকে আরও বেশি কিছু করার অনুরোধ জানায়। স্কুলটি নিজেদের আরো খারাপ অবস্থায় পায় এবং স্কুলের কাউন্সেলিং কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের সাহায্যের প্রয়োজনে সহযোগীতা করতে পারেনা তারা জানে না কতজন শিক্ষার্থীর সাহায্য প্রয়োজন। কর্মকর্তারা বলেছেন তারা এবছরের জন্য আরো দুজন কাউন্সিলর নিয়োগ দিয়েছেন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য এমন একটি প্রোগ্রাম আয়োজন করেছে যেখানে ছাত্র ছাত্রী দের মধ্য থেকে নেতৃত্বদানের ক্ষমতা খুজে বের করবে। এবং কর্মচারীরা আবাসিক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় যখন উদ্বিগ্ন থাকে তখন নানাভাবে পরীক্ষা করে।
হোয়াইটসাইড বলেন, “ছাত্র ছাত্রীরা ভাবে কোন পরীক্ষা দিতে না পারা অথবা ভাল না করা মানে তাদের এই পৃথিবীর সবকিছুর শেষ। আমরা শুধু এইটুকই আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছি যে এমন হওয়াটা স্বাভাবিক এবং তাদের সমর্থনে তাদের পাশে অনেকে আছেন”।
স্কুলটি শিক্ষার্থীদের বই গুলকেও নানাভাবে পরিক্ষা করছে। যেসব শিক্ষার্থীরা স্কুলে আবাসিক হিসেবে থাকে তাদের পড়াশুনায় সাহয্য করছে এবং কিভাবে পুরো শিক্ষাবর্ষ জুড়ে তাদের বিভিন্ন চাপের সাথে মোকাবিলা করতে হবে সে সম্পর্কে বিভিন্ন টিপস দিচ্ছেন। এবং একটি মোবাইল এপ রয়েছে যার মাধ্যমে তাদের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাধারার সূচনা করে এবং কিভাবে কঠিন সময়ে স্থিতিশীলতা তৈরী করা যায় সাহায্য করবে।
গুয়েলফ  বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেন শিক্ষার্থীরাও সমস্যা সমাধানের অংশ। তারা তাদের নিজেদের সাময়িক সমস্যাগুলোর দিকে নজর দিয়ে একে অপরকে সহযোগীতা করতে পারে বন্ধুত্বের মাধ্যমে। হোয়াইটসাইড বলেন, “এখানে একটি প্রশিক্ষণ রয়েছে। এমন কাউকে খুজছেন যে কোন কিছুর সংকেত পেয়েছে! যদি আপনার সাহায্যের প্রয়োজন হয়, আমি কি আপনাকে সাহায্য করতে পারি? আমি কি আপনাকে পরামর্শদাতার কাছে নিয়ে যেতে পারি? এভাবে তারা একে অপরকে সাহায্য করতে পারে।”
স্কুল প্রশাসন বলেছে সাহায্যের জন্য এটি ঠিক আছে, শিক্ষার্থীদের আরও উৎসাহিত করছে যেন তারা তাদের প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে পারে। এবং তারা ছাত্রছাত্রীদের আরো সচেতন করতে চাচ্ছে যে তাদের প্রয়োজনে তাদের জন্য সাহায্য এবং সমর্থন রয়েছে। কানাডিয়ান মেন্টাল হেলথ এসোসিয়েশন এর সাথে একত্রিত হয়ে ক্যাম্পাস এবং ক্যাম্পাসের বাহিরে অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সচেতনতা গড়ে তোলা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র-
(http://globalnews.ca/news/3737736/university-of-guelph-students-mental-health-supports)

কাজী কামরুন নাহার, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম

Previous articleযতদিন বেঁচে আছি ততদিন জানতে চাই শিখতে চাই: বারী সিদ্দিকী
Next articleসাধারণ বিষয় নিয়ে একদম নার্ভাস হয়ে যাই

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here