কাজের প্রতি কি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন?

0
65
intovert

‘অফিস যেতে আর ভালো লাগে না’- প্রায়ই এধরনের কথা হয়তো শুনতে পান বন্ধুদের মুখে, হয়তো নিজেও বলেন। এর মানে হচ্ছে আপনি ঐ কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। বেশির ভাগ মেয়েদের বেলায়ই চাকরিটা করতে হয় সংসার সামলে। তাই দেখা যায়, একটা পর্যায়ে অনেকেই মোটিভেটশন হারিয়ে ফেলেন। এভাবে দিনের পর দিন কাজ করে আনন্দ না পেলে প্রোডাক্টিভিটি কমে যায়।
দেখে নিন এই অবস্থায় নতুন করে পুরনো কাজকেই ভালো লাগাতে কি করতে পারেন-
১) পরের দিনের কাজগুলোকে একটা টার্গেট হিসেবে নিন। একটা নোট করে রাখুন কী কী করবেন। সেগুলো শেষ না করে উঠবেন না। খুব বড় টার্গেট নেবেন না প্রথমেই। টার্গেট পূরণ হলে আবার সেই পুরনো আমেজ ফিরে আসবে।
২) নতুন কাজ হাতে নিন। যেমন মাস শেষের প্রেজেন্টেশান হয়তো আপনার বসই করে থাকেন, আপনি হয়তো সেটাতে সাহায্য করেন। এবার সেটা নিজেই করে ফেলুন। তাতে আপনার আত্মবিশ্বাসও বাড়বে, সেই সাথে আপনার বস ও খুশি হবেন। তবে একটা ব্যাপার খেয়াল রাখবেন। যে কাজটি আপনি করলেন তার স্বীকৃতি যেন আপনিই পান, অন্য কেউ নয়।
৩)  কাজের ক্ষেত্রে অন্যদের সাহায্য করুন। তবে লক্ষ্য রাখবেন আপনার বেশি কাজ করার প্রবণতা কে কেউ যেন তাদের স্বার্থে না লাগায়। অন্য কেউ তাদের কাজের ভার আপনাকে দিলে যথাসম্ভব বিনয়ের সাথে না করে দিন।
৪) জব পলিটিক্স বা সেক্সুয়াল হ্যারাসমেনট কাজের প্রতি আগ্রহ তো কমিয়ে দেয়ই, সেই সেই সাথে মানসিকভাবে আপনাকে দুর্বল করে দেয়। সমস্যার কথা চেপে না রেখে অফিস কর্তৃপক্ষকে জানান। মনে রাখবেন, যেখানে আপনি কোন অন্যায় করেন নি, সেখানে আপনার ভয় বা লজ্জা পাবার কিছু নেই।
৫) মাঝে মাঝে আপনার পুরনো কোন সাফল্যের কথা মনে করুন, কিভাবে কঠিন কাজগুলো শেষ করেছিলেন। এতে করে নিজের পুরনো আত্মবিশ্বাস অনেকখানি ফিরে আসে।
৬) টাইম ম্যানেজমেন্ট করুন। আপনি যখন কোন কাজ করছেন, কোনভাবেই সেটা থেকে যেন আপনার মনোযোগ না সরে যায় সেটা খেয়াল রাখুন। অন্য কেউ যেন আপনার কাজের বা চিন্তা করার সময়টাতে ব্যাঘাত না ঘটায় সেদিকেও খেয়াল রাখুন।
৭) মাঝে মাঝেই আপনার সহকর্মীদের ধন্যবাদ দিন, তাদের কাজের প্রশংসা করুন, কেন প্রশংসা করছেন সেটাও বলুন। এতে তারা খুশি হবেন এবং অন্যকে খুশি করার চাইতে ভালো অনুভূতি আর কিচ্ছু নেই। পাশাপাশি এতে আপনার কাজের পরিবেশ ভালো থাকবে। তারাও আপনার প্রতি পজিটিভ থাকবেন।
৮) কাজের ক্ষেত্রে শত্রুতার মনোভাবের মত ক্ষতিকর আর কিছু নেই। কেউ সেরকম আচরণ করলে শুরুতেই এগ্রেসিভ আচরণ করবেন না। তার অবস্থান, তার সমস্যা বোঝার চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে সাহায্য করুন। তবে তিনি যদি আপনার ক্ষতি করার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করেন, সেক্ষেত্রে সুকৌশলে পদক্ষেপ নিন।
৯) রোবটের মত কাজ করবেন না। লাঞ্চের সময়টাতে কলিগদের সাথে আড্ডা দিন। ছোট্ট কফি ব্রেকে কোন বন্ধুকে ফোন করুন। এই কয়েক মিনিটের আলাপ কয়েক ঘণ্টার স্ট্রেস কমিয়ে দিতে সক্ষম।
১০) এক জায়গায় বসে সারাদিন কাজ করবেন না। এতে করে বিরক্তি চলে আসবে। তবে সেটা এমনভাবে করবেন যাতে তা অন্য কারোর বিরক্তির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।
১১) যখনই সময় পাবেন ইন্টারনেটে পড়াশোনা করুন, বিভিন্ন আর্টিকেল পড়ুন, নিউজ দেখুন। অর্থাৎ নিজের জানার পরিধি বাড়ান। এটা আপনাকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
১২) Look good to feel good. প্রতিদিন কোনরকম নিজকে গুছিয়ে নিয়ে দৌড়ে অফিস যাবেন না। হালকা সাজগোজ, সামান্য পারফিউম, আপনার পুরো মুডটাই বদলে দেবে। নারীরা প্রতিদিন আটপৌরে শাড়ি না পড়ে একদিন একটু পছন্দের তুলে রাখা শাড়িটা পড়ুন। ভালো লাগবে। পুরুষদের প্রায় সময়ই ফর্মাল শার্টই পরতে হয়। সেক্ষেত্রে শার্টের রং, কাপড়ের ডিজাইনে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করুন।

Previous articleআল-হাশরের খাঁচাবন্দি জীবন
Next articleসিলেটে বাপসিল এর নতুন কার্যকরী কমিটি গঠন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here