দীর্ঘদিন কর্মসংস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভোগা একজন মানুষের ব্যক্তিত্বের ওপর বাজে প্রতিক্রিয়া ফেলে। জীবনে সাফল্য অর্জনের পথচলায় প্রতিটি মানুষই কর্মসংস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগেছেন। সময়টা হয়ত কারও কম, কারও বেশি। আর সফলতা অর্জনের পরও প্রতিটি মানুষেরই হয়ত সেই অনিশ্চিত দিনগুলোর কথা মনে গাঁথা রয়ে গেছে।
এই বিষয়ে নতুন তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন গবেষকরা। আর তা হল দীর্ঘদিন কর্মসংস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভোগা একজন মানুষের ব্যক্তিত্বের ওপর বাজে প্রতিক্রিয়া ফেলে। চার বছর বা তারও বেশি সময় যারা এমন অনিশ্চয়তায় দিন পার করছেন তারা মানসিকভাবে অস্থিতিশীল হয়ে পড়েন। অন্যের সঙ্গে একমত হতে পারেন না এবং ন্যায়-অন্যায়ের বিবেচনা হারান।
নতুন এই তথ্যগুলো উঠে এসেছে যে গবেষণা থেকে তা প্রকাশিত হয় ‘জার্নাল অফ অ্যাপ্লাইড সাইকোলজি’তে।
গবেষণার অন্যতম গবেষক, অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি ইউনিভার্সিটি’র লিনা ওয়াং বলেন, “বরাবরই আলোচনায় ছিল কর্মসংস্থানের অনিশ্চয়তার সাময়িক প্রভাবগুলো যেমন শারীরিক ও মানসিক দূরাবস্থা, আত্মসম্মানবোধ হারানো্ ইত্যাদি। তবে এবার আমরা দেখেতে পেয়েছি এই অনিশ্চয়তা সময়ের সঙ্গে একজন মানুষকে কীভাবে পাল্টে দেয়। আর এই সুদূর প্রসারি প্রভাব আমাদের অনেকেরই অজানা।”
‘হাউসহোল্ড, ইনকাম অ্যান্ড লেবার ডাইনামিকস ইন অস্ট্রেলিয়া (এইচআইএলডিএ)’ শীর্ষক জরীপের তথ্য ব্যবহার হয় এই গবেষণায়। কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা ও ব্যক্তিত্ব নিয়ে নয় বছর ধরে ১০৪৬জন চাকরিজীবীকে বিভিন্ন প্রশ্নের মোকাবেলা করানোর পর এই জরীপের ফলাফল বের হয়েছিল। এরপর মানুষের ব্যক্তিত্বকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করেন গবেষকরা, মানসিক দৃঢ়তা, ঐক্যমত, ন্যায়-অন্যায় বিবেচনার ক্ষমতা, সামাজিকতার রক্ষার আগ্রহ এবং মন খুলে কথা বলার ইচ্ছা।
গবেষণার ফলাফল বলে, দীর্ঘদিন চাকরির অনিশ্চয়তায় ভোগার ক্ষতিকর প্রভাব গিয়ে পড়ে একজন মানুষের লক্ষ্য অর্জনের মানসিকতা, অন্যদের সঙ্গে মেশার আগ্রহ এবং মানসিক চাপ মোকাবেলা করার ক্ষমতার ওপর।
ওয়াং বলেন, “আমাদের কিছু ধারণার বিপরীত ফলাফল বেরিয়ে আসে গবেষণায়। কেউ হয়ত মনে করেন, কর্মক্ষেত্রে চাকরির অনিশ্চয়তা থাকলে কাজের মান ভালো হয়। কারণ চাকরি বাঁচানোর স্বার্থে সবাই কঠোর পরিশ্রম করবে। তবে অনিশ্চয়তায় দীর্ঘদিন ভোগার পর এই ধারণা আর প্রযোজ্য থাকে না। বরং এসময় কর্মীরা কাজের পেছনে পরিশ্রমের মাত্রা কমিয়ে দিতে থাকে, কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরিতে তাদের ভূমিকা কমে যায়। দিন শেষে সবকিছু মিলিয়ে কাজের মান কমে যায়।”
‘এইচআইএলডিএ’ জরীপে বিভিন্ন ধরনের পেশা ও পেশাজীবী মানুষকে নিয়ে কাজ করা হয়। তাদেরকে প্রশ্ন করা হয় তারা নিজেদের কর্মক্ষেত্রে কতটুকু নিশ্চয়তা অনুভব করেন। কর্মক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার কারণগুলোর মাঝে আছে স্বল্পমেয়াদি চুক্তিভিত্তিক কাজ, যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীলতা, কিংবা সেইসব পদ যা ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানে নাও থাকতে পারে।
নতুন এই তথ্যগুলো উঠে এসেছে যে গবেষণা থেকে তা প্রকাশিত হয় ‘জার্নাল অফ অ্যাপ্লাইড সাইকোলজি’তে।
গবেষণার অন্যতম গবেষক, অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি ইউনিভার্সিটি’র লিনা ওয়াং বলেন, “বরাবরই আলোচনায় ছিল কর্মসংস্থানের অনিশ্চয়তার সাময়িক প্রভাবগুলো যেমন শারীরিক ও মানসিক দূরাবস্থা, আত্মসম্মানবোধ হারানো্ ইত্যাদি। তবে এবার আমরা দেখেতে পেয়েছি এই অনিশ্চয়তা সময়ের সঙ্গে একজন মানুষকে কীভাবে পাল্টে দেয়। আর এই সুদূর প্রসারি প্রভাব আমাদের অনেকেরই অজানা।”
‘হাউসহোল্ড, ইনকাম অ্যান্ড লেবার ডাইনামিকস ইন অস্ট্রেলিয়া (এইচআইএলডিএ)’ শীর্ষক জরীপের তথ্য ব্যবহার হয় এই গবেষণায়। কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা ও ব্যক্তিত্ব নিয়ে নয় বছর ধরে ১০৪৬জন চাকরিজীবীকে বিভিন্ন প্রশ্নের মোকাবেলা করানোর পর এই জরীপের ফলাফল বের হয়েছিল। এরপর মানুষের ব্যক্তিত্বকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করেন গবেষকরা, মানসিক দৃঢ়তা, ঐক্যমত, ন্যায়-অন্যায় বিবেচনার ক্ষমতা, সামাজিকতার রক্ষার আগ্রহ এবং মন খুলে কথা বলার ইচ্ছা।
গবেষণার ফলাফল বলে, দীর্ঘদিন চাকরির অনিশ্চয়তায় ভোগার ক্ষতিকর প্রভাব গিয়ে পড়ে একজন মানুষের লক্ষ্য অর্জনের মানসিকতা, অন্যদের সঙ্গে মেশার আগ্রহ এবং মানসিক চাপ মোকাবেলা করার ক্ষমতার ওপর।
ওয়াং বলেন, “আমাদের কিছু ধারণার বিপরীত ফলাফল বেরিয়ে আসে গবেষণায়। কেউ হয়ত মনে করেন, কর্মক্ষেত্রে চাকরির অনিশ্চয়তা থাকলে কাজের মান ভালো হয়। কারণ চাকরি বাঁচানোর স্বার্থে সবাই কঠোর পরিশ্রম করবে। তবে অনিশ্চয়তায় দীর্ঘদিন ভোগার পর এই ধারণা আর প্রযোজ্য থাকে না। বরং এসময় কর্মীরা কাজের পেছনে পরিশ্রমের মাত্রা কমিয়ে দিতে থাকে, কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরিতে তাদের ভূমিকা কমে যায়। দিন শেষে সবকিছু মিলিয়ে কাজের মান কমে যায়।”
‘এইচআইএলডিএ’ জরীপে বিভিন্ন ধরনের পেশা ও পেশাজীবী মানুষকে নিয়ে কাজ করা হয়। তাদেরকে প্রশ্ন করা হয় তারা নিজেদের কর্মক্ষেত্রে কতটুকু নিশ্চয়তা অনুভব করেন। কর্মক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার কারণগুলোর মাঝে আছে স্বল্পমেয়াদি চুক্তিভিত্তিক কাজ, যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীলতা, কিংবা সেইসব পদ যা ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানে নাও থাকতে পারে।