করোনা-ভাইরাস, মেন্টাল লকডাউন ও মানসিক স্বাস্থ্য

0
112
করোনা-ভাইরাস, মেন্টাল লকডাউন ও মানসিক স্বাস্থ্য
করোনা-ভাইরাস, মেন্টাল লকডাউন ও মানসিক স্বাস্থ্য

করোনাভাইরাস, মৃত্যু, আতংক, কোরেনটাইন, লকডাউন ইত্যাদি শব্দ এখন সারাবিশ্বকে প্রভাবিত করছে। এইসবের পাশাপাশি বাংলাদেশে নতুন আরও কিছু বিষয় প্রভাব বিস্তার করছে। যেমন- স্বপ্নে পাওয়া করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির ফর্মুলা, করোনাভাইরাসের ওষুধ যেমন থানকুনি পাতা, করোনা প্রতিরোধে ধর্মীয় নেতাদের বিভিন্ন ফর্মুলা। করোনাভাইরাসকে ঘিরে একদিকে ভয়, উদ্বেগ, মানসিক চাপ এবং আতংক মানুষের মনে যতই বাড়বে অন্যদিকে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সঠিক ও পর্যাপ্ত তথ্য মানুষের কাছে না থাকলে বিভিন্ন ধরনের রিউমার বাজারে আসবে এবং মানুষ সেই সব রিউমারের শিকার হয়ে নিজের, পরিবারের ও সমাজের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করবে নিজেদের অজান্তেই এবং সেটাই হচ্ছে বাংলাদেশে। এই সময় মানুষের মন নেতিবাচক আবেগ (অধিক ভয়), নেতিবাচক অনুভূতি (দ্বিধা-দ্বন্দ্ব), নেতিবাচক চিন্তা (খোদাই রক্ষা করবে, আমাদের কিছুই করার নাই) দ্বারা যতবেশি আক্রান্ত হবে, তাদের আচরন ততবেশি নেতিবাচকভাবে (কেয়ারলেস মুভমেন্ট) প্রকাশিত হবে। করোনা ভাইরাস যেহেতু মানুষবাহিত ভাইরাসে পরিনত হয়েছে সেহেতু মানুষের চিন্তা, আবেগ, অনুভূতি এবং আচরনের ধরন ও প্রকাশ যতই নেতিবাচক হবে, করোনাভাইরাস ততই দ্রুত অনেক মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে কারন খারাপ জিনিস খারাপ পরিবেশ পেলে খুব দ্রুত ছড়ায়। করোনাভাইরাস ছড়ানো এবং প্রতিরোধ উভয় ক্ষেত্ত্রেই মানুষের চিন্তা, আবেগ, অনুভূতি ও আচরনের যেহেতু বিশেষ ভূমিকা রয়েছে তাই এই কঠিন সময়ে আপনার নিজের, নিজের পরিবারের, প্রতিবেশি ও আত্মীয়-স্বজনের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়া বিশেষ প্রয়োজন। মানসিক স্বাস্থ্য যথা ভারসাম্যপূর্ণ চিন্তা, আবেগ, অনুভূতি ও আচরন মেইনটেইন করে চলতে পারলে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত ও প্রস্তুতি নেয়া সবার পক্ষে সহজ হবে যা এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে।
বিশ্বব্যাপী এই করোনা মহামারীকে কেন্দ্র করে মানুষের মনে ভয়, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, প্যানিক কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। আবার এই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার বিপরিতে মানুষ তাঁর নিজস্ব কপিং সিস্টেম (Coping system) তৈরি করে নিবে এটাও স্বাভাবিক। যে যত দ্রুত অন্তঃ ও বহিঃ মানসিক ও শারীরিক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াগুলোকে (Internal- external negative physical and mental reactions)সমন্বয় করে নিতে পারবে বা অতিক্রম করতে পারবে সে তত ভালোভাবে সামগ্রিক পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে। তাই করোনার নিষ্ঠুর শাসনকালে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলা খুবই জরুরী। অনেকে মনে করতে পারেন, যেখানে মৃত্যু এসে দুয়ারে কড়া নাড়ছে সেখানে আবার মানসিক স্বাস্থ্য কিসের, কি হবে এটা দিয়ে। অনেক কিছুই হবে। মৃত্যুকে তথা করোনা ভাইরাসকে মোকাবেলা করার জন্য এই সময়ই আপনার মানসিক স্বাস্থ্য একশো ভাগ সুস্থ থাকা উচিত। আপনার মানসিক স্বাস্থ্য যত বেশি সতেজ থাকবে আপনার শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা ততবেশি ভাল কাজ করবে। আপনার মানসিক স্বাস্থ্য যত বেশি সতেজ থাকবে আপনার মন তত সঠিকভাবে সব ধরনের খারাপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রভাব দিন দিন বাড়তে থাকবে। ফলে চলমান অথবা আসন্ন বিপদ/হুমকি (করোনা ভাইরাস)-কে কেন্দ্র করে মানুষের মনে দুই ধরনের ভয় উৎপন্ন হবে। একটি হল যৌক্তিক ভয়, অন্যটি হল অযৌক্তিক ভয়। যৌক্তিক ভয় আমাদের মন ও শরীরকে করোনাভাইরাসকে মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত করবে। অন্যদিকে অযৌক্তিক ভয় আমাদের ভেতর নেতিবাচক আবেগ ও আচরন তৈরি করবে। মন ও শরীরকে দুর্বল করে ফেলবে। করোনাভাইরাস সম্পর্কে সায়েন্টিফিক তথ্য না থাকলে মানুষের ভেতর অযৌক্তিক ভয় বেশি কাজ করবে। অযৌক্তিক ভয়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গুজব ছড়াবে। গুজব যেকোনো পরিস্থিতিকে খুব সহজেই ভয়াবহতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
চারপাশে বিভিন্ন গুজব ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। সুতরাং অযৌক্তিক ভয় ও গুজব প্রতিরোধের জন্য করোনাভাইরাস সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানুন ডাক্তার ও রোগ বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে অথবা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) ওয়েবসাইট থেকে। এছাড়া আপনি যদি মনে করেন করোনাভাইরাস কর্তৃক সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য পর্যাপ্ত সক্ষমতা আপনার হাতে নেই তবে আপনি এই সময় মানসিক চাপে (Stress) ভুগতে পারেন। এই ধরনের মানসিক চাপ মোকাবেলা করার জন্য আপনি আপনার আশে-পাশের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের সাথে ভার্চুয়াল যোগাযোগ (মোবাইল)বাড়াতে পারেন যাতে একটা গভীর মানবিক বন্ধন অনুভব করেন। আপনার হাতে যতটুকু সক্ষমতা রয়েছে ততটুকুর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারেন। পরিবারের সদস্যদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও সাধারন ওষুধের ব্যবস্থা করতে পারেন। এই সময় মসজিদ, মন্দিরে যেহেতু পাবলিক সমাবেশ বেশি হয় সেহেতু ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাবে। তাই বাড়ির ভেতর নিয়মিত নামাজ, প্রার্থনা ও ধ্যান করতে পারেন মনকে চাঙ্গা রাখার জন্য। ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, চীনের মত উন্নত দেশগুলো করোনাভাইরাসের আক্রমনে বিপর্যস্ত। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অধিক জনসংখ্যার প্রভাব এবং অপ্রতুল মেডিক্যাল ব্যবস্থার কারনে করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের মনে উদ্বিগ্নতা (Anxiety) তৈরি হতে পারে। মূলত ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা থেকেই মানুষের মনে উদ্বিগ্নতা তৈরি হয়। করোনাভাইরাস আমাদের কতটুকু ক্ষতি করতে পারে, আক্রান্ত হলে কোথায় যাবো, কিভাবে চিকিৎসা পাবো, কিভাবে মোকাবেলা করব ইত্যাদি বিষয়ে রাষ্ট্রের তরফ থেকে জনগনের জন্য বিশ্বাসযোগ্য কোন দিক নির্দেশনা নাই অথবা কিছু দিকনির্দেশনা থাকলেও সেগুলোর উপর মানুষের আস্থা নাই। তাই এই সময় মানুষের মনে উদ্বিগ্নতা বিরাজ করা খুবই স্বাভাবিক। আপনার মনের ভেতর এই ধরনের উদ্বিগ্নতা কাজ করলে প্রথমেই সেই অনুভূতিকে স্বীকার করে নিন এবং দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস নিন, পাশপাশি আপনার এই অনুভূতির প্রতি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখান।
কারণ উদ্বিগ্নতার প্রতি আপনি যদি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া করেন সেটা আপনার শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। যেমন- অতিরিক্ত ঘাম হবে, বুক ধড়ফড় করবে, অস্থিরতা ভর করবে। উদ্বিগ্নতাকে মোকাবেলা করার জন্য আপনি ঠিক যেই পরিবেশে আছেন, সেই পরিবেশের ইতিবাচক কোন বস্তু বা বিষয়ের প্রতি মনকে প্রবাহিত করুন এবং সময়কে অতিক্রম হতে দিন। বর্তমান উদ্বিগ্নতা আপনার মনে থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই চলে যাবে যদি আপনি ঐ সময়টুকু নিজের নেতিবাচক অনুভূতির প্রতি নিরপেক্ষ থাকতে পারেন এবং নিজের অনুভূতির প্রতি নিজেই দয়া/করুনা দেখাতে পারেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভয়, মানসিক চাপ ও উদ্বিগ্নতা যদি একই সাথে আপনার মনকে গ্রাস করে এবং আপনার মন এই তিনটা নেতিবাচক অনুভূতির বিরুদ্ধে যদি কোন ডিফেন্স বা প্রতিরোধ দেয়াল তুলতে না পারে তবে করোনাভাইরাসের রাজত্বে আপনি যেকোনো সময় প্যানিক (Panic) হয়ে যেতে পারেন। প্যানিক হয়ে গেলে আপনার বিবেক, বুদ্ধি, বোধ, যুক্তি কিছুই ঠিকঠাক কাজ করবে না আর এইসব বিষয় এখন সঠিকভাবে কাজ না করলে করোনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার আগেই আপনি নিজেই বরং ভাইরাসের কাছে গিয়ে ধরা দিবেন কিন্তু টের পাবেন পরে। যখন টের পাবেন তখন আপনি আক্রান্ত। সো, খুব খেয়াল করতে হবে। এছাড়া প্যানিক ও গুজব একই সাথে বাজারে আসে। মানুষ যদি প্যানিক না হয়ে শান্ত থাকার চেষ্টা করে তবে গুজব কার্যকর হয় না। তাই মানসিকভাবে শান্ত থাকুন, স্থির থাকুন এবং গুজব এড়ান। করোনাভাইরাসের স্বৈরচারী শাসনআমলে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে গনতান্ত্রিকভাবে সংরক্ষণ ও যত্ন করতে চাইলে নিচের পরামর্শগুলোতে কান দিতে পারেন কারন এগুলো গুজব নয় বরং ফ্যাক্ট।
১। করোনাভাইরাস সম্পর্কে আপনি একজন অন্ধ, একজন বোবা, একজন পঙ্গু মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করলে তারাও কিছু না কিছু বলবে। কিন্তু এটা অণুজীববিজ্ঞান, ভাইরলজি কিংবা মেডিক্যাল সাইন্সের বিষয়। তাই করোনাভাইরাস সম্পর্কে জানার জন্য সঠিক উৎসের দারস্ত হওন। যেমন- ডাক্তার বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) ওয়েবসাইট। ভুলভাল তথ্য মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
২। সোশ্যাল মিডিয়া, খবরের কাগজে, অনলাইনের খবর গুলো করোনা ভাইরাসে একাকার। যে ধরনের মিডিয়া বা খবরের মাধ্যম আপনার উদ্বিগ্নতা, ভয়, টেনশন বাড়িয়ে দেয় সেগুলো এড়িয়ে চলুন। এক্ষেত্ত্রে ফেইসবুক সবচেয়ে বিপদজনক। তাই এই সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার সীমাবদ্ধ করুন। হরেক রকম অনির্ভরযোগ্য তথ্য আপনাকে আতংকিত করে তুলতে পারে। আপনি আতংকিত হলে আপনার চারপাশের মানুষ আপনার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আতংকিত হয়ে যাবে। আতংক মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
৩। আপনি যেটা নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন সেটার উপর নজর দিন। যেমন- পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার, হালকা ব্যায়াম, সবার খোঁজ খবর নেয়া ইত্যাদি। আপনি যেটা নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন না সেটার উপর নজর দেয়ার দরকার নাই যেমন- করোনাভাইরাসের বিস্তার ছড়ানো। নিজের সক্ষমতার চাইতে নিজের অক্ষমতার উপর বেশি মনোযোগ দেয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
৪। আশেপাশের আত্মীয়স্বজন ও কমিউনিটির মানুষের সাথে নিরাপদ উপায়ে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। যেমন- মোবাইলে খোঁজ খবর নেয়া। এতে সবার মধ্যে কানেকশন বাড়ে এবং সবাই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মতন আত্মবিশ্বাস পায়। আত্মবিশ্বাসের অভাব মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
৫। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য ইতিবাচক চিন্তা এবং আশার দিকে মনোযোগ দিতে হবে এবং আশেপাশের মানুষকে আতংকিত করার বদলে সাহস জোগাতে হবে কারন শুধু করোনাভাইরাস নয়, ইতিবাচক মনমানসিকতাও কিন্তু সংক্রামক।
৬। বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের মধ্যে ভয়, চাপ, উদ্বিগ্নতা এবং আতংকের অনুভূতি তৈরি করে সেগুলোকে সাথে সাথে স্বাভাবিক অনুভূতি হিসেবে গ্রহন করতে হবে এবং এইসব অনুভূতির [প্রতি নিরপেক্ষ থাকতে হবে অন্যথা এইসব অনুভূতি আমাদের ভেতর নেতিবাচক আচরণ তৈরি করতে পারে। আর করোনাভাইরাসের প্রিয় খাবার হল মানুষের নেতিবাচক আচরন।
৭। পরিবারের বাচ্চা ও বৃদ্ধদের করোনা ভাইরাস সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য দিতে হবে এবং তাদের প্রতি বিশেষ ভালবাসা ও যত্নের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরন দেখাতে হবে যাতে তারা হতাশ না হয়। হতাশ হলে বর্তমান অবস্থার সাথে তাঁরা খাপ খাওয়াতে পারবে না।
৮। করোনাভাইরাস সম্পর্কে মৌলিক তথ্যগুলো (basic information) যদি আপনার কাছে থাকে তবে এই সময় এর অধিক তথ্য আপনার সরবরাহ করার দরকার নেই। কারন অধিক তথ্য কনসামসন আপনার মনকে দুর্বল করে দিতে পারে।
৯। নির্দিষ্ট সময় পর পর হাত ধুয়ে নিন। দরকার না হলে বাসা থেকে বের হওয়ার দরকার নাই। বাসা থেকে বের হলে জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। বেশি বেশি পানি খান।
১০।মনকে চাঙ্গা রাখার জন্য খোদা, ভগবান, ঈশ্বর, প্রকৃতির প্রার্থনা করতে পারেন। তবে এই ধরনের প্রার্থনা অনেক মানুষের সাথে নয় বরং একা একা করতে হবে।ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য মসজিদ- মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করলে উলটো ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি কারন মানুষ হিসেবে আপনার ধর্ম ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ , খ্রিষ্টান হতে পারে কিন্তু ভাইরাসের ধর্ম একটাই। আর সেটা হল সংক্রমণ। মানব শরীর কাছে পেলেই সে ছড়িয়ে পড়বে এটাই ভাইরাসের একমাত্র ধর্ম।

Previous articleসামাজিক লজ্জা আর ভয়েই অনেকে রোগ লুকাচ্ছে: অধ্যাপক ডা. সুষ্মিতা রায়
Next articleউদ্বেগ কমাতে মনের যত্ন নিন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here