কভিড ১৯ নামক মহামারী ঠেকানোর লক্ষ্যে আজ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ স্বেচ্ছায় নিজগৃহে অবস্থান করছেন। কিন্তু গৃহবন্দী থেকেও সামান্য কিছু অসতর্কতা ও ভুলের কারণে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকেই যায়। তবে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করলে ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব, যেমনঃ
– নিজে ২৪ ঘন্টা ঘরে থাকার পাশাপাশি খুব বেশি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া পরিবারের অন্য সকল সদস্যকেও বাইরে যেতে নিরুৎসাহিত করতে হবে।
– জরুরী প্রয়োজনে বাইরে গেলেও যতদুর সম্ভব কম জিনিসপত্র নিয়ে বের হতে হবে এবং সেক্ষেত্রে একবার ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ ব্যবহার করাই ভালো।
– ঘরে আসার পর কোনো কিছু স্প’র্শ করার আগেই ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোওয়ার পর পরিহিত কাপড়-চোপড় সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে এবং চুলও শ্যাম্পু বা সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
– বাইরে নিয়ে যাওয়া চাবি, মোবাইল, চশমা, ঘড়ি, মানিব্যাগ ইত্যাদি স্যানিটাইজার দিয়ে পরিস্কার করতে হবে অথবা যতটুকু সম্ভব কম জিনিস নিয়ে বাইরে বের হতে হবে।
– গৃহপরিচারিকা, ড্রাইভার বা বাইরে থেকে যারা ঘরে আসছেন তাদের বিষয়ে সাবধান হতে হবে ও তাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাও একইভাবে নিশ্চিত করতে হবে, অন্যথায় তাদের যাতায়াত সাময়িকভাবে রোধ করতে হবে।
– ঘরে আনা যেকোনো প্যাকেটজাত পণ্যসামগ্রী ভালো করে ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
– বাইরে থেকে আনা অন্যান্য পন্যসামগ্রী (যার পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই) ঘরের এক কোণে ১২-১৫ ঘন্টা রেখে দিতে হবে যাতে সেখানে ভাইরাস থেকে থাকলেও নিজে থেকেই মারা যাবে।
– পচনশীল পণ্যসামগ্রী সাথে সাথে ফ্রিজে না ঢুকিয়ে সাবান পানি দিয়ে আগে পরিস্কার করে নিতে হবে।
– ঘরের যে সকল জিনিস বাইরের কারো সংস্পর্শে আসার সুযোগ থাকে (যেমন দরজার ছিটকিনি, হাতল, কলিং বেলের সুইচ ইত্যাদি) তা দিনে কয়েকবার ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত পানি অথবা সাবান পানি দিয়ে পরিস্কার করতে হবে।
আমাদের সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও অসীম ধৈর্য্য এবং মনোবলের শক্তিতে ভাইরাসের সংক্রমণ শূন্যের কোঠায় নেমে আসার পর আমরা খুব শীঘ্রই আমাদের স্বাভাবিক জীবনের পরশ পাবো বলে আশা করছি।