করোনাভাইরাসে বিশ্বে ৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে: অ্যামনেস্টি

কোভিড-১৯ এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের নানা রকম মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা
কোভিড-১৯ এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের নানা রকম মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা
মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী অন্তত ৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যুর তথ্য জানতে সক্ষম হয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

যুক্তরাজ্যভিক্তিক বেসরকারি এই সংস্থাটির মতে, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এই সম্মুখযোদ্ধাদের দিকে বিভিন্ন দেশের সরকার যথাযথ নজর দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে সংস্থাটি।

অ্যামনেস্টির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনায় সর্বোচ্চ ৫৪৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ায়। যুক্তরাজ্যে মারা গেছে ৫৪০ জন। আর যুক্তরাষ্ট্রে ৫০৭ জন। এদিকে করোনার নতুন উপকেন্দ্র ব্রাজিলে প্রাণ হারিয়েছে ৩৫১ জন স্বাস্থ্যকর্মী। মেক্সিকোসহ লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশে মারা গেছে ২৪৮ জন।

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একেবারে প্রথম সারির যোদ্ধা হলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সে কারণে তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। মৃতের সংখ্যাও উদ্বেগজনক। অ্যামনেস্টি বলছে, প্রথম সারির করোনাযোদ্ধা হিসেবে তাদের যে নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশ প্রয়োজন— অধিকাংশ দেশেই সেটি নেই। তার উপর তাদের কর্মঘণ্টা বেশি, সেই তুলনায় বেতন-ভাতাও কম।

অ্যামনেস্টির অভিযোগ, মহামারির এই সময়ে বিশ্বের অনেক দেশই স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে পারছে না। ফেস মাস্ক, গাউন, গ্লাভস, সেফটি গগলসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনীয় মেডিকেল সামগ্রীর পর্যাপ্ত যোগান দিতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা। অ্যামেনেস্টির পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের ৬৩টি দেশে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই (পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট) নেই। স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

সূত্র: আলজাজিরা

মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন

Previous articleমনোবল নষ্ট করি না:মুদি দোকানদার মোঃ হাসান
Next articleদই, বাঁধাকপি করোনা প্রতিরোধে উপকারী: গবেষণা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here