প্রতিদিনের চিঠি – আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ঘটে নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা। যা প্রভাব ফেলে আমাদের মনে। সেসবের সমাধান নিয়ে মনের খবর এর বিশেষ আয়োজন ‘প্রতিদিনের চিঠি’ বিভাগ। এই বিভাগে প্রতিদিনই আসছে নানা প্রশ্ন। আপনিও লিখতে পারেন আমাদেরকে এই ইমেইলে monerkhaboronline@gmail.com। সেজন্য ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
সমস্যা-আমার নাম আসাদ। বয়স ২৬। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। যাতায়াত করি বাসে। ৩-৪ মাস আগে আমি যে বাসে যাচ্ছিলাম, সে বাসটি একটি সাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। ওই সাইকেলে দু’জন ১২-১৩ বছরের ছেলে ছিল। যখন বাসটি সাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়, তখন আমি সেই ধাক্কার আওয়াজ ও বাচ্চাদের চিৎকার শুনতে পাই।
কিন্তু বাসটি দ্রুত চলে যাওয়ায় কী পরিণতি হয়েছিল সেটা জানতে পারিনি। এ ঘটনার পর থেকে আমি আর বাসে উঠতে পারি না। বাস দেখলেই আমার ওই ঘটনাটি মনে চলে আসে। তখন প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণা হয়। কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে পারি না। রাতে সহজে ঘুম আসে না। কোনো শব্দ শুনলে চমকে উঠি। অফিসের কাজও ঠিকমতো করতে পারি না। দিনে দিনে আমার সমস্যাগুলো বেড়ে যাচ্ছে। কীভাবে আমি এগুলো কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারব? দয়া করে আমাকে পরামর্শ দেন।
পরামর্শ – জনাব আসাদ, আপনি বাসে বেশি বেশি চড়বেন। রাস্তায় বের হলে অন্য গাড়ির পরিবর্তে বাস বেশি ব্যবহার করবেন। ভাববেন বাচ্চা দুটোকে বাস ধাক্কা দেয়ার পেছনে আপনার কোনো ভূমিকা ছিল না। এই বিষয়ে আপনি একদম নির্দোষ। কেউ বিপদে পড়লে বা দুর্ঘটনায় কবলিত হলে বেশি বেশি সাহায্য করবেন। মাঝে মাঝে বড় বড় শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে নিজেকে হালকা করার চেষ্টা করবেন। ঘটনাটি নিয়ে বন্ধু-বান্ধব ও অন্যদের সঙ্গে বেশি বেশি আলোচনা করবেন। একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আপনি দুশ্চিন্তা কমানোর ওষুধ খেতে পারেন।
পরামর্শ দিয়েছেন-
অধ্যাপক ডা. ফারুক আলম
এমবিবিএস, এফসিপিএস (সাইকিয়াট্রি)
প্রাক্তন অধ্যাপক কাম পরিচালক
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট।
- অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে করণীয়-
- এপোয়েন্টমেন্ট নিতে যোগাযোগ করুন-Prof. Dr. Shalahuddin Qusar Biplob
- চেম্বার – MK4C -মনের খবর ফর কেয়ার
মগবাজার রেইল গেইট।
নাভানা বারেক কারমেলা, লিফটের ৩,
(ইনসাফ কারাকাহ হাসপাতালের বিপরীতে)।
চেম্বার সিরিয়াল – ০১৮৫৮৭২৭০৩০
আরও দেখুন-