এপিলেপসি ও সাইকিয়াট্রি বিষয়ক বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১০ ফেব্রুয়ারি এপিলেপসি (বাংলায় যাকে বলে মৃগীরোগ) ও সাইকিয়াট্রি বিষয়ক একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে । আন্তর্জাতিক এপিলেপসি দিবসকে সামনে রেখে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল তাদের কনফারেন্স রুমে এই সেমিনারের আয়োজন করে । উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির ২য় সোমবার বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি পালিত হয় ।
ডা. এ কে এম খালিকুজ্জামানের কোরআন পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান । সেমিনারে দুটি গবেষণাপত্র পাঠ করেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কিডনি ডিজিজের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. হোমায়রা জেসমিন এবং এসোসিয়েট প্রফেসর (OSD, DGHS, DHAKA) ডা. মো: মুনতাসির মারুফ । গবেষণাপত্রে তারা এপিলেপসি ও সাইকিয়াট্রির সম্পর্ক তুলে ধরার পাশাপাশি সম্প্রতি পরিচালিত একটি জরিপের ভিত্তিতে বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরেন।  
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. ফারুক আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ সাইকিয়াটিস্টসের সভাপতি প্রফেসর ডা. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী । বিশেষ অতিথি ছিলেন আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রফেসর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. আজিজুল ইসলাম, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক প্রফেসর ডা. আব্দুল হামিদ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক প্রফেসর ডা. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ এস আই মল্লিক এবং পপুলার হাসপাতালের প্রফেসর ডা. মো. শাহ আলম । এছাড়াও মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন প্রফেসর ডা. মহাদেব চন্দ্র মণ্ডল সহ ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা । সঞ্চালনা করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. ফাতিমা জোহরা ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রফেসর ডা. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘ভাষার মাসে আমি বাংলায় বলার চেষ্টা করছি। এখন অনেকে বাংলায় সাইকিয়াট্রি রচনার চেষ্টা করছেন, এটা খুব আনন্দদায়ক। এপিলেপসি বিচিত্র কারণে হতে পারে, ফলে এর চিকিৎসা জটিল। ২০ থেকে ৩০ ভাগ এপিলেপসি রোগী মানসিক সমস্যায় ভোগে। ফলে এর সাথে মনোরোগবিদ্যার গভীর সম্পর্ক রয়েছে । বিশ্বজুড়ে অনেক সফল মানুষ এই রোগ নিয়ে বেঁচেও সাফল্যের চূড়া স্পর্শ করেছেন । এই রোগে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে।’’
সভাপতির বক্তৃতায় প্রফেসর ডা. ফারুক আলম বলেন, ‘‘দেশে এপিলেপসির হার দিন দিন বাড়ছে। মায়েদের যত্ন বাড়ালে এপিলেপসি কমে যাবে। এ রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী, এটি একটি বড় সংকট। সচেতনতা বাড়াতে হবে, ধাত্রীদের, গ্রামচিকিৎসকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ বাড়াতে হবে। সমাজেও এ রোগ নিয়ে নানা ধরনের কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে, এ বিষয়েও সচেতনতা তৈরি করতে হবে।’’
প্রতিবেদক, মনেরখবর.কম


লক্ষ্য করুন- মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক খবর বা প্রেস রিলিজও আমাদের পাঠাতে পারেন। বৈজ্ঞানিক সেমিনার, বিশেষ ওয়ার্কশপ, সাংগঠনিক কার্যক্রমসহ মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোনো খবর পাঠাতে news@www.monerkhabor.com এই ইমেইলটি ব্যবহার করতে পারেন আপনারা।

Previous articleযৌন নির্যাতন মোকাবিলা
Next articleঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ষষ্ঠ এশিয়ান সিবিটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here