এডিএইচডি বিষয়ে বিএসএমএমইউতে আলোচনা সভা

আজ ২৬ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে এটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিজর্ডার (এডিএইচডি) বা মনোযোগহীনতা ও অতিচঞ্চলতা রোগ বিষয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুন নাহারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। এছাড়াও সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য(গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ শিকদার, উপ উপাচার্য(প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক আলম। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. এমএসআই মল্লিক।
দুই পর্বের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে তিনটি পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনা করেন ডা. নাহিদ মাহজাবিন মোরশেদ, সেলিনা ফাতেমা বিনতে শহীদ এবং ডা. মো. রাইসুল ইসলাম।
সভায় আলোচকবৃন্দ এটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিজর্ডার (এডিএইচডি) বা মনোযোগহীনতা ও অতিচঞ্চলতা রোগের বিভিন্ন দিক, লক্ষণ, কারণ, প্রতিকার বিষয়ে আলোচনা করেন। বক্তারা এডিএইচডি-কে একমাত্র রোগ হিসেবে উল্লেখ করেন যাতে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীদের ক্ষেত্রেই এটি অচিহ্নিত অবস্থায় থাকে এবং চিকিৎসা সেবার বাইরে থাকে।
বক্তারা বলেন, এটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিজর্ডার একটি মস্তিস্কের বিকাশজনিত সমস্যা, যাতে শিশুরা কোন কাজে  মনোযোগ দিতে পারে না ও নিজেকে নিয়ন্ত্রনের সমস্যায় ভোগে।এই রোগটি শিশুদের সাধারণত দেড়-দুই বছর বয়স থেকেই শুরু হয় যা অনেক সময় স্কুলে না যাওয়া পর্যন্ত বোঝা যায় না।  নিজের শিশুদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা।
এডিএইচডি আক্রান্ত শিশুটিকে যদি চিকিৎসা সেবার বাইরে রাখা হয় তাহলে পরবর্তী জীবনে তার ব্যক্তিত্ব গঠন এবং পরবর্তী জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই অবহেলা না করে শিশু অবস্থায় এডিএইচডি নিরাময়ের আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়া এটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিজর্ডারের ঔষধকে সহজলভ্য করার জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহনের আহ্বান জানান আলোচকেরা।
এর আগে উদ্বোধনী পর্বের পর নাটিকা উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিবেদক, মনেরখবর.কম


লক্ষ্য করুন- মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক খবর বা প্রেস রিলিজও আমাদের পাঠাতে পারেন। বৈজ্ঞানিক সেমিনার, বিশেষ ওয়ার্কশপ, সাংগঠনিক কার্যক্রমসহ মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোনো খবর পাঠাতে news@www.monerkhabor.com এই ইমেইলটি ব্যবহার করতে পারেন আপনারা।

Previous articleদুর্ঘটনা: রানা প্লাজা ও একটি গল্প
Next articleমানসিক স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে নতুন পদক্ষেপ নেয়া উচিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here