উৎসর্গ ফাউন্ডেশন এবং এমপ্যাথির আয়োজনে করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত

স্বাস্থ্য বলতেই আমরা বুঝি শারীরিক স্বাস্থ্য। তবে স্বাস্থ্যের সঙ্গায় – মন, শরীর, আধ্যাত্মিকতা, সামাজিকতা এই চারটি বিষয় জড়িত রয়েছে।  ভালো থাকা, খারাপ থাকা এসব কিছুই মানসিক স্বাস্থ্যের অংশ। অন্যান্য স্বাস্থ্যের মতোই মনের স্বাস্থ্যের ৩ টি দিক রয়েছে। একটি হলো prevention যাতে মন অসুস্থ না হয়, আরেকটি হলো promotion অর্থাৎ যা আছে তার থেকে মন আরো বেশি ভালো থাকা, আরেকটি হলো treatment অর্থাৎ যারা অসুস্থ হয়ে যায় তাদের চিকিৎসা করা। কথাগুলো বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এর মানসিক রোগ বিভাগ এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাহ্‌উদ্দিন কাউসার বিপ্লব।

তিনি গতকাল (২২ জুলাই) উৎসর্গ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ আয়োজিত “করোনা কালে শরীর ও মনের সুরক্ষা” শীর্ষক অনলাইনভিত্তিক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক ডা. সালাহ্‌উদ্দিন কাউসার বিপ্লব আরো বলেন, সারাবিশ্বে করোনার পরবর্তী অবস্থায় মানসিক রোগের বৃদ্ধির একটা ভালো আশংকা করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক, শারীরিক, সামাজিক প্রতিটি ক্ষেত্রের ধাক্কা ঘুরেফিরে মনের উপর প্রভাব ফেলবে। শিশু থেকে বয়স্ক সববয়সের উপর মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়তে পারে।  আমাদের মধ্যে যখন হঠাৎই কিছু ঘটে যায়, স্ট্রেস বেড়ে যায়, উদ্বেগ, হতাশার তৈরি হয়, তখন শরীরের সাথে মনের উপরও প্রভাব ফেলে।

বয়ঃসন্ধিকালে পিতামাতা তাদের সন্তানদের মানসিক যত্ন নেয়ার ব্যাপারটা অত্যন্ত জটিল। একদিনে সবকিছু ম্যানেজ করে করা সম্ভব না। সব সময় তাদের সঠিক তথ্য দিয়ে তাদের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করা। অন্যান্য দেশের সাথে আবার তুলনা করা যাবে না। মধ্যবয়স্ক যারা আছে তাদের জন্য একটা সুযোগ নিজেকে প্রতিদিন কিছু সময় দেয়া, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; বলেন অধ্যাপক ডা. বিপ্লব।

উৎসর্গ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর সাধারন সম্পাদক তানজিলা খান এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. শাহনাজ চৌধুরী।

এর আগে গত (২১ জুলাই) প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে এমপ্যাথী আয়োজিত “কোভিড১৯ সময়ে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য” শীর্ষক অনলাইনভিত্তিক আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক ডা. সালাহ্‌উদ্দিন কাউসার বিপ্লব।

লিনা নাসরীন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচানায় অধ্যাপক ডা. বিপ্লব বলেন, করোনাকালীন সময়টা হঠাৎই সবাই সম্মুখীন হচ্ছেন, এরকম দূর্যোগের সময়ে চিন্তা, উদ্বেগ, হতাশা, তৈরি হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জানতে হবে, এর দ্বারা নিজের বা অন্যের ক্ষতি হচ্ছে কিনা, যদি সব কিছু নিয়ন্ত্রণের মধ্যে না থাকে অবশ্যই প্রফেশনাল সাহায্য নিতে হবে।

মানসিক সমস্যার ব্যাপারে বড়দের ও শিশুদের ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্ন, কারন বড়রা কিছু হলেও মনের অবস্থা বলতে পারে, শিশুরা মনের অবস্থা বলতে পারে না, তখন তাদের আচরণ দেখে তাদের অবস্থা বুঝতে হয়; বলেন তিনি।

মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন

Previous articleমনোবল দৃঢ় রাখতে মেনে চলবেন যেসব অভ্যাস
Next articleকরোনা আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে এলে যা করবেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here