খাদ্য নিয়ে উদ্বেগ অনেকের কাছেই একটি না বলা গোপনীয় কথা। জনসংখ্যার একটি বড় অংশ, বিশেষ করে টিনএজ মেয়েদের মধ্যে এই উদ্বেগের হার বেশি। টিনএজ মেয়ে এবং প্রাপ্তবয়স্ক মহিলারা এ বিষয়ে বেশি চিন্তিত অনুভব করেন। কেন? গবেষণায় দেখা গেছে, মহিলাদের মধ্যে চিকন স্বাস্থ্যের জন্য অতিরিক্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রের প্রবণতা রয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু খেলা (যেমন জিমন্যাস্টিকস) এবং পেশা (যেমন মডেলিং) মাত্রাতিরিক্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করে হলেও শরীরকে ফিট রাখতে উৎসাহ দেয়।
একজন ব্যক্তি রোগা হবার জন্য যখন প্রায় একেবারেই খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দেয়, তখন এটাকে বলা হয় এনোরেক্সিয়া নার্ভোসা (Anorexia Nervosa)। ব্যক্তি যখন না খাওয়ার কারণে তার স্বাভাবিক ওজনের তুলনায় অন্তত ১৫% কম ওজনের অধিকারী হন, তখন সেই ব্যক্তি হয়ত এনোরেক্সিয়া নার্ভোসার শিকার হয়ে থাকতে পারেন।
বুলিমিয়া নার্ভোসা (Bulimia Nervosa) অন্য আরেকটি প্রকার, যেখানে ব্যক্তি অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করে থাকলেও পরবর্তী সময়ে তার ভয় হতে থাকে সে মোটা হয়ে যাবে, এজন্য তৎক্ষণাৎ সে গলায় আঙ্গুল দিয়ে বমি করে ফেলে, বিভিন্ন রেচন এবং মূত্রবর্ধক ঔষধ সেবন, রেচনতন্ত্রের এক্স-রে এবং মাত্রাতিরিক্ত শরীরচর্চা বাড়িয়ে দেয়।
খাদ্যজনিত উদ্বেগে আক্রান্ত অধিকাংশ মানুষ লজ্জার কারণে এ বিষয়টি চেপে যান। এই উদ্বেগের ক্ষেত্রে অন্যান্য গুরুতর অসুখের মতোই সঠিকভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা প্রয়োজন, না হলে পরবর্তী সময়ে এটি এমনকি জীবনের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিতে পারে।
এই উদ্বেগের চিকিৎসায় কগনিটিভ-বিহেভিয়ার থেরাপি এবং অন্যান্য সাইকোথেরাপিও অন্তর্ভুক্ত। সাইকোথেরাপির পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণ এর চিকিৎসাকে আরো ফলপ্রসূ করবে।
তথ্যসূত্র: সাইকসেন্ট্রালে প্রকাশিত John M. Grohol এর রচনা অবলম্বনে লিখেছেন সুপ্তি হাওলাদার।
লিংক: https://psychcentral.com/disorders/eating-disorders/