অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন যৌনরোগের সঙ্গে জড়িত বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। ‘দ্যা জার্নাল অব সেক্সুয়াল মেডিসিনে’ প্রকাশিত নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ওজন জনিত সমস্যা, শারীরিক অক্ষমতা, অধিক মদ্যপান, তামাক গ্রহণ এবং অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণ অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অংশ।
এ ধরনের জীবনযাপনই পুরুষের যৌনরোগের সঙ্গে জড়িত। আর যে ব্যক্তি যৌনতায় নিষ্ক্রিয়, তার জীবনে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন একটি সাধারণ বিষয়।
জাতীয়ভাবে প্রতিনিধিত্ব করা এই পরিসংখ্যান পাঁচ হাজার ৫৫২ জন ডেনিশ পুরুষ এবং নারী উপর করা হয়। যাদের বয়সসীমা ১৬-৯৭ বছর।
পরিসংখ্যানের ফলাফলে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সঙ্গী সম্পর্কিত নিষ্ক্রিয় যৌন জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত। এক্ষেত্রে পুরুষের হার ৭৮ শতাংশ ও নারীদের হার ৯১ শতাংশ। যারা অতিরিক্ত মাদক গ্রহণ করে এবং যৌনসঙ্গী রয়েছে, তাদের মধ্যে ৭১ শতাংশ পুরুষের যৌন নিষ্ক্রিয়তার ঝুঁকি রয়েছে। আর যে নারীরা ভাং জাতীয় মাদকে আসক্ত তাদের অ্যানোর্গাসমিয়াতে (যৌনতার সর্বোচ্চ মুহূর্তে পৌঁছতে নিষ্ক্রিয়তা) আক্রান্ত হবার ঝুঁকি ৩ গুণ বেড়ে যায়।
গবেষণায় গবেষক আশা করেন যে, এই ফলাফল ভবিষ্যতে রোগীদের কাউন্সেলিং এর স্বার্থে কাজে লাগবে। এই ফলাফল একজন ব্যক্তিকে অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস থেকে বিরত রাখতে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন যেমন ধূমপান বর্জন, মদ্যপান বর্জন, ওজন কমানো ইত্যাদি করতে উৎসাহিত করবে।
দ্য জার্নাল অব সেক্সুয়াল মেডিসিন এর প্রধান সম্পাদক আরউইন গোল্ডস্টাইন মনে করেন, যৌন নিষ্ক্রিয়তার অনেক কারণ রয়েছে, যার উপর ব্যক্তির হাত নেই। যেমন, ক্যান্সার চিকিৎসার পর বা অন্যান্য আঘাত। কিন্তু জীবনধারা ও মাদক গ্রহণ ব্যক্তির, ব্যক্তিগত পছন্দ। প্রত্যেক ব্যক্তি তার জীবনধারাকে ঢেলে সাজাতে পারে বিশেষ করে খাবার, শারীরিক কসরতের মাধ্যমে এবং মাদক বর্জনের মাধ্যমে। এগুলো স্বাস্থ্যকর যৌনজীবন নিশ্চিত করে।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে