ডা. মো. জোবায়ের মিয়া
সহকারী অধ্যাপক (সাইকিয়াত্রি), শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা।
কর্মক্ষেত্রে অনৈতিক সম্পর্ক বিবাহবিচ্ছেদের অন্যতম কারণ। শুরুতে ডিভোর্স নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। ডিভোর্স শব্দের অর্থ হচ্ছে বিবাহবিচ্ছেদ। যখন কোনো দম্পত্তির ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং সামাজিক বিভিন্ন কারণে বনিবনা না হয় তখন পরস্পর বিবাহবিচ্ছেদ বা আলাদা বসবানের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
বিচ্ছেদের নানা কারণ
যোগাযোগ কমে যাওয়া। সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলা কমে যাওয়া সম্পর্ক ভাঙনের বড়ো করণ। অবিশ্বাস সম্পর্ক মজবুত করতে সাহায্য করে বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসেই যদি ফাটল ধরে, তবে অবিশ্বাস বানা বাঁধতে থাকে। অবিশ্বাস থেকে সম্পর্কে ভাঙন ধরে। আর্থিক সমস্যা। আমাদের দেশে আর্থিক সমস্যা একটা বড়ো সমস্যা। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেও অনেক সময় টাকা নিয়ে কামেলা লাগে।
এই বিবাদের জের গড়ায় অনেক দূর সম্পর্কের বাঁধুনি যদি দুর্বল হয়। নিয়মিত পরস্পরের সঙ্গে সময় কাটানো হয় না। দুজন দুজনের মতো কাজে। ব্যস্ত থাকে না। এর থেকেও বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন অনেকে। পারিবারিক নির্যাতন: আমাদের দেশের অনেক মেয়েরাই বিয়ের পর নির্যাতনের শিকার হন। বিশেষ করে যৌতুকের দেনা-পাওনা পরিশোধ না হলে স্বামী কর্তৃক অথবা স্বামীর আত্মীয়-স্বজনের দ্বারা নির্যাতিত হন। এর ফলেও বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে থাকে।
কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর সাথে যদি অফিসের নিয়ম রীতির বাইরে কেউ ব্যক্তিগত অবৈধ সম্পর্কে জড়ায় তাহলে ডিসিপ্লিন নষ্ট হবে। সবাই দুইজনকে নিয়ে আড়ালে আবডালে নানান কথা বলবে। এতে অফিসের সুস্থ পরিবেশ নষ্ট হবে। চাকরিচ্যুতি ঘটতে পারে। সবচেয়ে বড়ো যে সমস্যা হবে তা হলো দুই পরিবারে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাবে। সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হবে। এক সময় বিবাহবিচ্ছেদে রূপ নিতে পারে।
এগুলো থেকে এড়ানোর জন্য পুরুষ এবং মহিলা সহকর্মী অফিসের কাজের বাইরে একান্তে সময় কাটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। পারিবারিক অনুষ্ঠানে উভয় পরিবার যোগাযোগ রাখতে পারে। নীতি নৈতিকতা বজায় রেখে চলার চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে ধর্ম চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা, সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান মানুষের মন এবং মননকে শানিত করে।
- এপোয়েন্টমেন্ট নিতে যোগাযোগ করুন – APPOIMTMENT
- আরো পড়ুন- বিবাহবিচ্ছেদ বৃদ্ধকালে কতটা যন্ত্রণাদায়ক হয়?