অতিরিক্ত টুইটার ব্যবহারে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জার্মানির ‘শাখাটি’ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন স্কুলের একদল চিকিৎসকের গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে টুইটার ব্যবহারের ফলেই এমনটি হবে এমন কোনো দাবি করেননি গবেষকরা।
‘টুইটার সাইকোসিস: অ্যা রেয়ার ভেরিয়েশন অর ডিসটিনক্ট সিনড্রোম’ শিরোনামের গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘জার্নাল অব নার্ভাস অ্যান্ড মেন্টাল ডিজিস’ সাময়িকীর চলতি আগস্ট সংখ্যায়।
৩১ বছর বয়সী এক জার্মান নারীর জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে গবেষণা করে এমন সম্ভাবনার কথা জানান তারা। দীর্ঘক্ষণ টুইটার ব্যবহারকারী ওই নারী ‘আত্মঘাতী’ চিন্তা-চেতনা নিয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তি হন।
তার বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সদস্যরা জানান, বছরখানেক আগে তিনি অধিক পরিমাণে টুইটার আসক্ত হয়ে পড়েন। টুইটারের প্রতি তার আসক্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে মাঝে মাঝে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা একনাগারে টুইটারে বার্তা পোস্ট করে এবং অন্যের পোস্ট করা বার্তা পড়ে সময় কাটাতে শুরু করেন। এমনকি খাওয়া-দাওয়ার সময়ও বন্ধ থাকতো না টুইটার পোস্টিং। এক সময় তিনি অনুভব করেন যে, টুইটারে পোস্ট করা তার বার্তাগুলোর জবাব দিচ্ছেন বিখ্যাত এক অভিনেতা। এর মাস দুয়েক পর তিনি বাস্তব জীবনেও এমন ঘটনা ঘটছে বলে বিশ্বাস করতে শুরু করেন।
তারা জানান, উপায়ান্তর না পেয়ে ভর্তি হন মানসিক হাসপাতালে। হাসপাতালে ভর্তির পর অবশ্য এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। এখন তিনি সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বাদ দিয়েছেন।
তবে ওই নারীর জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে বাস্তবতা হিসেবে মানতে রাজি নন খোদ গবেষকরাই। তাই বলে এ ধরনের সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা।
এ প্রসঙ্গে গবেষক দলের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকিয়াট্রি ও সাইকোথেরাপি বিভাগের শিক্ষক জ্যাঁ ক্যালবিৎজার বলেন, ‘এটি একটি স্বতন্ত্র বিষয়। আমাদের সহকর্মীরা এ ধরনের কোনো অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন কিনা, তা জানার জন্য আমরা বিষয়টি মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞদের সামনে উপস্থাপন করেছি।’
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনবিসি নিউজ