বর্তমান সরকার শিশুর সার্বিক উন্নয়নে নানাবিধ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে চলেছে এবং অভাবিত সাফল্য অর্জন করেছে। নানা ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি স্বত্তেও ঝুঁকিপূর্ণ সমাজে শিশুর প্রতি সহিংসতা বেড়েই চলেছে। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, সম্প্রতি শিশুর প্রতি শারীরিক সহিংসতা বন্ধে স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে সরকারের বিগত তিন বছরের বাজেট পর্যালোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করে। ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাজেট পর্যালোচনা নিয়ে যৌথভাবে এই আয়োজন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মোঃ কাজী রিয়াজুল হক। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন–মোঃ আবু ইউসুফ, অর্থনীতিবিদ, প্রফেসর এন্ড চেয়ারম্যান ডিপার্টমেন্ট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, পরিচালক সেন্টার অন বাজেট এন্ড পলিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন চন্দন জেড গমেজ, ডাইরেক্টর প্রোগ্রাম ডিজাইন এন্ড কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাবিরা নুপুর, উপপরিচালক, এ্যাডভেকেসি, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ।
২০১৫ সালে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) চূড়ান্ত করেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসডিজি এর অভীষ্ট ১৬ এর আওতায় শান্তি, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং শিশুর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা বন্ধ করণে উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে এ সংক্রান্ত বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ আন্তরিক। এমনই নানা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে আলোচনায়।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মোঃ কাজী রিয়াজুল হক শিশুর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা বন্ধ করতে সরকারের প্রচেষ্টার পাশাপাশি সচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়াও তিনি জানান, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ জানাতে ‘হটলাইন’ চালু করছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন; মার্চ থেকে ১৬১০৮ হটলাইন নম্বরের কার্যক্রম শুরু হবে। জনবল কম থাকায় অফিস আওয়ারে এই নম্বর চালু থাকবে। এখানে অভিযোগগুলো রেকর্ড করে রাখা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে সরকার ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বিশেষ বাজেট পেশ হয়। তখন শিশুদের জন্য বাজেট ছিলো মোট জাতীয় বাজেটের ১৪.৫১ শতাংশ। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের এই বাজেট বেড়েছে ২.৫৩ শতাংশ। কিন্তু ২০১৭ ২০১৮ অর্থবছরে এই খাতে বাজেট কমেছে ২.৫১ শতাংশ।
প্রতিবেদক, মনেরখবর.কম
লক্ষ্য করুন- মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক খবর বা প্রেস রিলিজও আমাদের পাঠাতে পারেন। বৈজ্ঞানিক সেমিনার, বিশেষ ওয়ার্কশপ, সাংগঠনিক কার্যক্রমসহ মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোনো খবর পাঠাতে news@www.monerkhabor.com এই ইমেইলটি ব্যবহার করতে পারেন আপনারা।