যেসব অভ্যাসে মানুষ বিষণ্ণ হয়

0
53
মানুষ বিষণ্ণ
শুধুমাত্র ব্যর্থ হলে বা কোন কিছু না পেলেই যে মানুষ বিষণ্ণ হয়, এই ধারণা কিন্তু সঠিক নয়। বিষণ্ণ বোধ করতে এছাড়াও আরও নানাবিধ কারণ রয়েছে। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে ক্ষেত্রে এমন কিছু ভুল করে বসি যার কারণেও বিষণ্ণ বোধ করতে পারি আমরা নিজেরাও। আর বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতে আমাদের কিছু অভ্যাস এড়িয়ে চলতে হবে। জেনে নিন সেই অভ্যাসগুলোর তালিকা-

১. দিনের বেশিরভাগ সময় একা থাকার কারণে মানুষ বিষণ্ণ হয় বা বিষণ্ণতা অনুভব করে। তাই সবার সঙ্গে মেশার চেষ্টা করুন। এতে আপনার হতাশা কেটে যাবে এবং আপনার মেজাজ সারাক্ষণ ফুরফুরে থাকবে।
২. সামাজিক মাধ্যমে অনেকটা সময় নষ্ট করা ঠিক নয়। অন্যের ছবি, পোস্ট এগুলো দেখে আপনার মধ্যে হতাশা কাজ করে। এই হতাশা আপনাকে বিষণ্ণতায় ভোগায়।
৩. নেতিবাচক মানুষের সঙ্গে সময় কাটানো। এদের নেতিবাচক কথা আপনার সব ধরনের ইচ্ছাকে নষ্ট করে দেবে। তাই বিষণ্ণ হতে না চাইলে এ ধরনের মানুষ থেকে দূরে থাকুন।
৪. ধূমপান শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর নয়, এটি আপনার বিষণ্ণতারও কারণ। যে যত বেশি ধূমপান করে, সে তত বেশি বিষণ্ণ থাকে এছাড়াও বিষণ্ণতায় বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি । তাই বিষণ্ণতা থেকে মুক্তি চাইলে ধূমপান ত্যাগ করুন।
৫. শহরে বেশি সময় ধরে থাকা। কাজের প্রয়োজনে আমাদের শহরে থাকতেই হয়। তবে একটানা শহরে বেশিদিন থাকলে মন বিষণ্ণ হয়ে ওঠে। তাই মাঝেমধ্যে গ্রাম থেকে ঘুরে আসুন। দেখবেন, সব ধরনের হতাশা কেটে যাবে। ফিরে এসে আপনি আবার কাজে মন দিতে পারবেন।
৬. রাতে দেরি করে ঘুমানো। এটাও বিষণ্ণতার কারণ। দেরি করে ঘুমালে সকালে উঠতে কষ্ট হয়। ঘুম কম হয়। সারা দিন শরীরে আলসেমি কাজ করে। এর ফলে কোনো কিছুতে আগ্রহ থাকে না।
৭. অনেকক্ষণ টিভি দেখার কারণেও আপনি বিষণ্ণ হতে পারেন। তাই অযথা টিভি দেখে সময় নষ্ট না করে সৃজনশীল কোনো কাজ করার চেষ্টা করুন, যা আপনার মনকে সতেজ ও প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করবে।

Previous articleমাতৃত্ব ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে ‘মনের খবর’ নভেম্বর সংখ্যা প্রকাশিত
Next articleমনের খেয়াল রাখতে ইচ্ছে করে খুব-অদিতি বসু রায়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here