কিছু পিতামাতা তাদের সন্তানদের অবহেলা করেন নানা কারণে। আবার কিছু বিদ্যালয়েও বিদ্যার্থীদের প্রতি অবজ্ঞার আচরণ করা হয়। যুক্তরাজ্যে “ফ্যাকাল্টি অফ পাবলিক হেলথ” সংক্ষেপে “এফপিএইচ” এর একটি প্রকাশিত প্রতিবেদনে পাওয়া যায় অদ্ভুত এক তথ্য- বিভিন্ন অক্ষমতার জন্য সকল ধরনের শারীরিক সমস্যার সমষ্টির চেয়েও মানসিক, আবেগজনিত ও মানসিক সমস্যা বেশি দায়ী।
“এফপিএইচ” এর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জন এস্টন বলেন, “দুশ্চিন্তা, ক্ষুধামন্দা, স্থুলতায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে শিশুদের বাঁচাতে সাহায্য করতে হবে রাষ্ট্রকেই। সন্তানদের বড় করে তোলার ব্যাপারে, সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে পিতামাতার যথোপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে।”
৫ থেকে ১৬ বছরের বয়সের প্রতি দশজন শিশুর একজনের মানসিক সমস্যা অবশ্যই চিকিৎসা করাতে হবে এ প্রতিবেদন বলছে -এমন কথা।
পিতামাতা এবং সন্তানের মাঝে সম্পর্ক এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিদ্যালয় ছেড়ে যাওয়া শিশুদের শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগ মানসিক সমস্যায় ভোগে। প্রফেসর সারাহ স্ট্রিয়ার্ট ব্রাউন বলেন, “ যদিও খাদ্য আর কাজ মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য, তবে সহযোগী মনোভাব নিয়ে সন্তান লালন পালন চাবির মত। শিশুর প্রথম ১০০১ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ”
বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন প্রতিবেদনেও স্টিয়ার্টের কথার সত্যতা মেলে। দেখা গেছে, তিন চতুর্থাংশ মানসিক রোগের আবির্ভাব ঘটে শৈশবেই।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এসব সমস্যার ঠিক কত খানি এখনই প্রতিকার সম্ভব তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন, তবে প্রতিকার অবশ্যই সম্ভব।
মানুষের আন্তসম্পর্কের আলোচনায় শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা বাড়াতে হবে। বিদ্যালয়ে এবিষয়ে বিশেষজ্ঞের বক্তৃতার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রচারণার জন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রচার চালাতে হবে। ২৪/৭ হেল্পলাইনের ব্যবস্থা করতে হবে।
তথ্যসূত্র- বিবিসি
মাসাফি আহমেদ ফেরদৌস অনিক, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম