এ মহামারীর সময়ে প্রথম আর প্রধান দায়িত্ব বিশেষ জরুরি প্রয়োজন ব্যতিরেকে বাসায় থাকা।
এসময় যা করা উচিত:
১.পরিবার আর প্রিয়জনদের সময় দেওয়া।জীবনের সুখস্মৃতি গুলো তাদের সাথে একসাথে বসে রোমন্থন করা। কোন ভুল বুঝাবুঝি থাকলে তার অবসান করা।
২.মিউজিক,ব্যায়াম বা যোগ ব্যায়াম,মেডিটেশন বা ব্রেদিং এক্সারসাইজ করে মনকে শান্ত রাখা। সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে মন শান্ত রাখতে পারেন।
৩.পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্য সম্মত খাবার গ্রহণ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। কিছু জরুরি ঔষধ কিনে রাখবেন।
৪.বই,কবিতা,উপন্যাস পড়া,বাগান করা,ছবি আকাঁ বা অন্য যেকোনো ঝুঁকি বিহীন আনন্দদায়ক কাজে সময় কাটানো।
৫.ফোন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে বন্ধু বান্ধব আর প্রিয় মানুষদের খোঁজ রাখা,কারোও কোন বিপদে সাহায্য করতে পারলে চেষ্টা করা। সবাইকে সচেতন করা।
যা করবেন না
১.সারাদিন টিভি আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মহামারীর সংবাদ দেখবেন না। এগুলো সারাদিন চিন্তা করলে আপনার মনের উপর চাপ বৃদ্ধি পাবে। আপনার ইমিউন সিস্টেমের ক্ষমতা কমবে।
২.কারোও সাথে বাকবিতন্ডায় জড়াবেন না।উত্তেজিত হবেন না। রাগারাগি আর ভুল বুঝাবুঝি থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারেন।যা আপনার এই গৃহবন্দীর জীবনকে আরও বেদনাদায়ক করবে।
৩.যেকোনো সংবাদ দেখেই বা শুনেই বিশ্বাস করবেন না। গুজবের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন অযাচিত পদক্ষেপ না নেওয়াই ভালো।
৪.ভুলে যাবেন না এটা মহামারী। কাজেই অনেকেই বিভিন্ন অসাধু সুযোগ নিতে পারে। তাই বাসার নিরাপত্তার ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে ভুলবেন না।অসতর্ক থাকবেন না।
৫.যুদ্ধটা সকলের। কিন্তু অগ্রভাগে যারা আছেন যেমন চিকিৎসক,সেবিকা,স্বাস্থ্য কর্মী,সেনাবাহিনী বা প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের মানুষগুলো তাদের প্রতি উদার এবং দায়িত্বশীল হোন।তাদের মনোবল চাঙা রাখতে নেতিবাচক মন্তব্য পরিহার করুন।
লেখক: ডা.মোহাম্মদ হাসান, রেসিডেন্সি কোর্স (ফেজ এ), মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ