ভারতে মানসিক রোগে আক্রান্ত শিশুকে ইলেকট্রিক শক দেয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা, অপরাধ নয় স্বেচ্ছামৃত্যূ!

মানসিকভাবে অসুস্থ শিশুকে ইলেকট্রিক শক দেয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। তবে দেশটিতে আত্মহত্যা এখন থেকে আর কোন অপরাধ নয়।
এক বছর আগে ২৯মে ২০১৭ স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের ‘নতুন মানসিক স্বাস্থ্যসেবা আইন ২০১৭’ পাশ হয়। তাতে বলা হয়, ‘ভারতে আত্মহত্যার প্রচেষ্টাকে অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে না, এবং সেইসাথে মানসিকভাবে অসুস্থ শিশুর বৈদ্যেতিক ধাক্কা/ইলেকট্রিক শক নিষিদ্ধ করা হলো।’
পাশাপাশি মানসিক অসুস্থ পুরুষ ও নারীর চিকিতসার অন্যতম পদ্ধতি নির্বীজন ও নিষিদ্ধ করা হয়।মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষকে শিকল দিয়ে আবদ্ধ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কারণ প্রত্যেক মানুষের মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকার অধিকার আছে।
২০১৭ সালের প্রজ্ঞাপনে মানসিক স্বাস্থ্য আইন-১৯৮৭ প্রতিস্থাপন করে মানসিক অসুস্থতাকে পরিষ্কারভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।দেশের প্রচলিত মানসিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার পরিবর্তনের লক্ষ্যে ভারতীয় আইনের সাথে ব্যক্তি অধিকার আইনের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে এই আইন দ্বারা।
মানসিক স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চিত করার জন্য চিকিতসা ও পুনর্বাসন সেবাসহ মানসিক সুস্থতার জন্য যে কোন খরচ বহন করার জন্য সরকারের যথেষ্ট তহবিল এর ব্যবস্থা আইন দ্বারা নির্ধারণ করা আছে।
এছাড়া আইন দ্বারা মানসিকভাবে অসুস্থ শিশুর বৈদুতিক ধাক্কা/ইলেকট্রিক শক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে মানসিকভাবে অসুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের পেশী শিথিল করণ ও অচেতন করারে বিধান থাকলেও শিশুদের ক্ষেত্রে বৈদুতিক ধাক্কা/ইলেকট্রিক শক নিষিদ্ধ করেছে।
যদিও ভারতীয় পেনাল কোড এর ৩০৯ ধারায় বলা আছে, কোন ব্যক্তি যদি আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে ধারণা করা হয় কিংবা অন্যভাবে প্রমাণিত না হয় অথবা তীব্র জোর দিয়ে আত্মহত্যায় উতসাহিত করা হয় তাহলে এই কোড অনুযায়ী শাস্তির কথা বলা আছে।
পেনাল কোড এর আইনে বলা আছে,আত্মহত্যা প্রবণ ব্যক্তিদের যত্ন, চিকিতসা এবং পুনর্বাসন ব্যবস্থা প্রদান করা সরকারের দায়িত্ব,এবং আত্মহত্যার পুনরাবৃত্তি ঝুকি হ্রাসে জোর দিতে হবে সরকারকেই।
আইন অনুযায়ী লিঙ্গ, ধর্ম, জাতি, বর্ণ, গোএ ভেদে, রাজনৈতিক বিশ্বাস, শ্রেনী ও অক্ষমতার ভিত্তিতে, মানসিকভাবে অসুস্থ ও শারিরিক অসুস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রে কোন ভাবে বৈষম্য করা যাবে না ।
আইন দ্বারা মানসিকভাবে অসুস্থদের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে সমাজে তাদের বসবাসের অধিকার আছে, তারা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। শুধু মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত নয়, তাকে সুবিধা প্রদান করতে হবে কারণ সে পরিবার ও কমিউনিটি থেকে বঞ্চিত।
এদিকে এই আইন কে সাধুবাদ জানিয়েছে ভারতীয়রা কারণ এ আইন পর্যপ্ত সচেতনতা সৃষ্টি করেছে সাধারন মানুষের মধ্যে।
লিখেছেন, শারমিন নাহার প্রতিবেদক মনের খবর

Previous articleকবিতা-গান অনুভূতিকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে
Next articleমুড ডিজঅর্ডার নিয়ে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেলে সেমিনার অনুষ্ঠিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here