বিষণ্নতা দূর করে মেডিটেশন

0
21
বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার

দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যস্ততার চাদর মুড়িয়ে সময় পার করি আমরা। যদি প্রতিদিনের শুরুটা একটু অন্যরকমভাবে মেডিটেশন কিংবা ধ্যান করে শুরু হয়, কেমন হয় বলুন তো? আসলে আমাদের আশে পাশে অনেকই রয়েছেন মেডিটেশন করার মাধ্যমে অনেক উপকার পেয়েছেন।
বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, মেডিটেশন দেহ ও মনে এক অভাবনীয় প্রশান্তি ও স্থিরতা সৃষ্টি করে যেখানে দুশ্চিন্তা ও হতাশা থাকে অনুপস্থিত। গবেষণায় দেখা গেছে, সব বয়সে প্রায় সব ধরনের দুশ্চিন্তা ও হতাশাজনিত সমস্যায় মেডিটেশন একটি সর্বোচ্চ কার্যকরী পন্থা।
আসলে হতাশা এবং দুশ্চিন্তা দূর করে এমন নিউরোট্রান্সমিটারগুলোর নিঃসরণ ব্রেনে বাড়িয়ে দেয় মেডিটেশন। যেমন ব্রেনে সেরোটনিনের মাত্রা কমে গেলে বিষণ্নতা, স্থুলতা, অনিদ্রা এবং মাথাব্যথার মতো লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়।
বিজ্ঞানী ডেভিড ওরমে জনসন আবিষ্কার করেন মেডিটেশন আমাদের মস্তিষ্কে সেরেটনিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। GABA(Gama Amino Butyric Acid) হলো আরেক ধরনের  নিউরোট্রান্সমিটার যা হতাশা ও দুশ্চিন্তার প্রকোপ হ্রাস করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মেডিটেশন করলে বিষণ্নতার রোগীদের ক্ষেত্রে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা অর্ধেক কমে যায়। টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকিয়াট্রি বিভাগের প্রফেসর জিন্ডেল সাগাল একদল রোগীর ওপর মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশনের প্রভাব সম্পর্কে পরীক্ষা চালান যারা সবেমাত্র বিষণ্নতা থেকে সেরে উঠেছেন। তিনি দেখেন, মেডিটেশন করা রোগীদের ৬৬ শতাংশ এক বছরের মধ্যে একবারও আর বিষণ্নতার প্রকোপে পড়েননি। যেখানে মেডিটেশন না করা গ্রুপের ক্ষেত্রে এ সাফল্য মাত্র ৩৪ শতাংশ ক্ষেত্রে হয়েছে।

Previous articleইতিবাচক মানসিকতা কী?
Next articleমন ভালো রাখতে খাবেন যেসব খাবার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here