নারীরা যেসব ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকেন

নারীরা যেসব ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকেন

কিছু বিশেষ ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকিতে বেশি থাকেন নারীরা। স্তন ক্যান্সার, জরায়ুমুখের ক্যান্সার, পায়ুপথের ক্যান্সার, মুখের ক্যান্সার এর মধ্যে অন্যতম।

নারীরা যদি সচেতন থাকেন তাহলে এসব ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। এ কারণেই ক্যান্সার প্রতিরোধ ও প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয়ের ওপর জোর দিতে হবে বেশি। আজকে নারীদের বিশেষ ধরনের ক্যান্সারের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।

জরায়ু মুখের ক্যান্সার

কম বয়সে বিয়ে, বেশি সন্তানের জন্মদান, ঠিকমতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখা, বহুবিবাহ এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি প্রতিরোধ করতে তাই জনসচেতনতা এবং সবার অংশগ্রহণ জরুরি। ধুমপান পরিহার করতে হবে, জর্দা, সাদা পাতা ও গুল বর্জন করতে হবে।

এছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে, সুশৃঙ্খল জীবনযাপন ও সামাজিক অনুশাসন মেনে চলতে হবে। নারীদের নিয়মিত পেপস স্মেয়ার পরীক্ষাও করা প্রয়োজন। এতে রোগ আগেভাগে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এখন এই রোগ প্রতিরোধে টিকাও আছে।

স্তন ক্যান্সার

বিশ্বব্যাপী চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির ফলে স্তন ক্যান্সার এখন নিরাময় সম্ভব। তবে সমস্যা হলো তা ধরা পড়তে হবে যথাসময়ে। পরিবারে কারও স্তন ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে আরও সচেতন হতে হবে। সঠিক সময়ে বিয়ে, সন্তান নেওয়া, সন্তানকে নিয়মিত স্তন্যদান ইত্যাদিও জরুরি।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে স্ক্রিনিং ম্যামোগ্রাম ছাড়াও নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করতে হবে নিয়মিত। স্তনে যেকোনো পরিবর্তন, গোটা, নিঃসরণ, চাকা মনে হলে পরীক্ষা করতে হবে। প্রতি মাসে মাসিক শুরু হওয়ার পর প্রথম ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করুন।

কারও মাসিক নিয়মিত না হলে ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ কেটে প্রতি মাসে একবার পরীক্ষা করবেন। গর্ভবতী ও সন্তানকে বুকের দুধ দেওয়া মায়েরাও পরীক্ষা করবেন।

মুখের ক্যান্সার

অনেক নারীরা পান, গুল, তামাক, জর্দা সেবন করেন। এতে মুখ ও মুখগহ্বরের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। পাশাপাশি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধূমপানেও ঝুঁকি বাড়ে। এসব কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার ছাড়াও স্তন এবং অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। মুখে ঘা হলে এবং তা দীর্ঘদিনে না সারলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

পায়ু পথের ক্যান্সার

পায়ু পথের ক্যান্সার পুরুষদের বেশি হয়। তবে নারীদের ক্ষেত্রে সংকোচ আর লজ্জার কারণে এই ক্যান্সার ধরা পড়ে একেবারে শেষ পর্যায়ে। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে স্তন ক্যানসারের মতো পায়ু পথের ক্যান্সারও নিরাময়যোগ্য।

পায়ু পথে যদি তাজা রক্ত না গিয়ে মরা রক্ত, আমযুক্ত রক্ত, পেটে মোচড় দিয়ে অথবা কালো দুর্গন্ধযুক্ত পায়খানা হয় তাহলে সচেতন হতে হবে। পায়ু পথ দিয়ে ব্যথাহীন রক্তপাতকে কিছুতেই অবহেলা করা চলবে না। মনে রাখবেন, বেশির ভাগ ক্যান্সারে প্রাথমিকভাবে ব্যথা থাকে না।

তবে এর চেয়ে বেশি জরুরি খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও কায়িক পরিশ্রম অথবা ব্যায়াম। কারণ, ক্যান্সার হওয়ার পর চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধ জরুরি বেশি।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে

Previous articleবয়সন্ধিকালে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন ও করণীয়
Next articleঅর্থনৈতিক সমৃদ্ধি কি মানসিক প্রশান্তির নিমিত্ত হতে পারে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here