Close Menu
    What's Hot

    সাইকিয়াট্রি বিভাগের জুলাই মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

    শিশুদের স্ক্যাবিস: ছোট্ট শরীরের বড় চুলকানি, প্রতিকার ও প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

    মনে রাখার বিভিন্ন পদ্ধতি

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    শিশুদের কেন এবং কিভাবে পরার্থপরতার প্রেরণা দেয়া যায়

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Friday, July 11
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম July 7, 2025

      সাইকিয়াট্রি বিভাগের জুলাই মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

      Recent

      সাইকিয়াট্রি বিভাগের জুলাই মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

      বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

      অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর May 3, 2025

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      Recent

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

      রাতে ঘুমাতে পারি না, সবসময় এক ধরনের অস্থিরতা অনুভব করি

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      দিনের চিঠি April 28, 2025

      রায়হান মানুষের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, অকারণে আতঙ্কিত বোধ করছে

      Recent

      রায়হান মানুষের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, অকারণে আতঙ্কিত বোধ করছে

      জীবনের ফাঁদে যেন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছি, কায়দা করেও আর যেন বাঁচতে পারছি না!

      মা আর নিজেকে চেনেন না — ঘুম নেই, স্মৃতি নেই, পরিচ্ছন্নতাও নেই!

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      ফিচার December 5, 2023

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      Recent

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » ঢাকা স্ট্রেস স্কেল
    কার্যক্রম

    ঢাকা স্ট্রেস স্কেল

    প্রতিবেদক, মনের খবরBy প্রতিবেদক, মনের খবরJune 12, 2017No Comments8 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

    স্ট্রেস, বা মানসিক চাপ; এই অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ নয়, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। প্রতিটি মানুষই জীবনে একাধিকবার স্ট্রেস্ড আউট বা মানসিক চাপে আক্রান্ত হয়েছেন। এটি এমন একটি মানসিক ও শারীরবৃত্তিক ভারসাম্যহীন অবস্থা, যেটার ‍উৎপত্তি ঘটে- যখন কোন পরিস্থিতিগত চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে একজন মানুষের ব্যক্তিগত ক্ষমতা বা প্রেরণার জায়গাটা অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে পড়ে।
    উদাহরণস্বরূপ, পরিবারের কোন সদস্যের মৃত্যুর ফলে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়, যে অপূরণীয় ঘাটতির সৃষ্টি হয়, সেই ঘাটতি পূরণে আমাদের কিছু করার থাকে না; এই অপারগতা আমাদেরকে স্ট্রেস প্রদান করতে থাকে। স্ট্রেস এর ফলে আমাদের মাথা ব্যথা হয়, উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়, বুকে ব্যথা, ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাসহ আরও নানান সমস্যা দেখা যায়। যেকোনো শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতা যেমন আমাদেরকে (শুধু রোগীকে নয়, রোগীর পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদেরও বটে) স্ট্রেস প্রদান করে, ঠিক তেমনি আমরা স্ট্রেস এর ফলে নানান রোগে আক্রান্তও হই বা রোগের অবস্থা আরও খারাপ হয়।
    স্ট্রেস এর ফলে ডিপ্রেশন এ আক্রান্ত হওয়া খুব স্বাভাবিক। আবার হাঁপানি বা ডায়াবেটিস এর মতন রোগগুলো স্ট্রেস এর কারণে আরও প্রকট আকার ধারণ করে। আবার এমন না যে, সকল স্ট্রেসই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। যেসকল স্বাভাবিক মাত্রার স্ট্রেস বরং স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, তাদেরকে সাধারণত “eustress” বলা হয়। সাইকিয়াট্রিস্ট, সাইকোলজিস্ট, থেরাপীস্ট, সোশ্যাল ওয়ার্কারসহ নানা পেশাজীবীদের পেশাগত কারণে বা গবেষণার নিমিত্তে স্ট্রেস এর মাত্রা নির্ণয়ের প্রয়োজন হয়। এর জন্য দ্বারস্থ হতে হয় বিদেশী সব স্কেল এর। কিন্তু হোমস এন্ড রাহি (১৯৬৭) বা কোহেন (১৯৯৪) এর এইসব স্কেলগুলো ঠিক আমাদের বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে যায় না। সুতরাং এইসব স্কেল ব্যবহারের ফলে আমরা যে ফলাফল পাই, সেটাতে সম্পূর্ণতা থাকে না।
    দীর্ঘ দিনের এই সমস্যা থেকে মুক্তির আলোকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমইউ) এর কয়েকজন শিক্ষক আমাদের নিজস্ব একটি স্ট্রেস স্কেল তৈরির প্রয়াস করেছেন। যার নাম দেয়া হয়েছে “ঢাকা স্ট্রেস স্কেল”। কয়েকবছর পূর্বে শুরু হওয়া এই গবেষণা কাজটি প্রকাশ পরবর্তী সময়ে এর ডিসসেমিনেশন বা প্রচারণামূলক অনুষ্ঠান হয়ে গেল বিএসএমএমইউ এর শহীদ ড. মিলন হল এ।
    বিএসএমএমইউ এর মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুলতানা আলগিন এর শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপরে মঞ্চে উপবিষ্ট এই গবেষণা কার্যের প্রধান গবেষক বিএসএমএমইউ এর মনোরোগবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ এস. আই. মল্লিক তাঁর বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি এই পুরো গবেষণাকর্মটির একটি সামগ্রিক রূপরেখা তুলে ধরেন উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের সামনে। এই গবেষণাকার্যের উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা, কর্মপদ্ধতি, প্রভৃতি তার শান্ত ও সুস্থির বাচনভঙ্গির মাধ্যমে উপস্থাপিত করেন। তিনি কিছু উপলব্ধিমূলক প্রশ্ন তুলে ধরেন, দীর্ঘ গবেষণা পরিচালন কালে তিনি ও তার দল স্ট্রেস এর উৎস সম্পর্কিত এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন। উনি প্রশ্ন রাখছেন, “আমাদের যে ঐতিহ্যগত স্থিতিশীল পারিবারিক ব্যবস্থা, সেটা কি ধীরে ধীরে ভেঙ্গে যাচ্ছে? আমরা কি পশ্চিমাদের অনুকরণে বিচ্ছিন্ন পারিবারিক কাঠামোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি? আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ কি অবনতির দিকে যাচ্ছে?”
    উনি বলেন, “আমাদের কোনভাবেই পশ্চিমাদের মতো ঐ রকম সমাজব্যবস্থা গঠনের চিন্তা-ভাবনা থাকলে আমরা দাঁড়াতে পারব না। এই উপমহাদেশে অনেক দুর্বলতার সাথে অনেক শক্তিও আছে, যে শক্তি নিয়ে আমরা প্রচুর কাজ করতে পারি। একটা উদাহরণ বলতে পারব- আমাদের এখানে যারা এক্সপার্ট আছেন, তারা মাদকাসক্তির মধ্যে এলকোহল এ্যাডিকশন খুব কমই পান। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের কৃতিত্ব না। এটা সোসাইটির ব্যাপার। আমাদের এদিকে, আমরা দেখি যে (গবেষণায়) সিজোফ্রেনিয়ার রেট ভাল, পশ্চিমাদের তুলনায়। কেন? এদের অন্যতম কারণ, আমি একটি স্টাডি করেছি, যার মধ্যে দেখা যাচ্ছে যে- ফ্যামিলি সাপোর্ট এবং বন্ডিং। তারা ঠিক যত্ন করে ঔষধ খাওয়াচ্ছে। সে তুলনায় পশ্চিমাদের বন্ড কমপ্লাইন্টসের হার অনেক বেশি। পরিবারের লোকদের খুঁজে পাওয়া যায় না। ….. এই স্ট্রেন্থ কি আমরা হারিয়ে ফেলব? হারিয়ে ফেললে আমরা মহাবিপদে পড়ব আসলে।”
    তিনি আরও প্রশ্ন রাখছেন যে, “আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা কি শিক্ষার্থীদের জন্য স্টিমুলেটিং? আমাদের দেশের যে বৃহৎ একটা জনগোষ্ঠী কাজের জন্য বিদেশ থাকছে, তাদের ও তাদের পরিবারের প্রতি এর প্রভাবটা কি? আমরা আমাদের চিকিৎসাজীবনে কি স্ট্রেস এর ক্ষতিকারক ভূমিকা সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন? আমরা কি স্বাস্থ্য ও রোগবালাই এর ক্ষেত্রে স্ট্রেস এর ক্ষতিকারক ভূমিকা বোঝার জন্য যথেষ্ট জ্ঞান, দক্ষতা ও মনোভাব রাখি?” এই সকল প্রশ্নের উত্তর খোঁজা ভবিষ্যৎ গবেষকদের জন্য বেশ ভাল গবেষণার ক্ষেত্র হতে পারে। সবশেষে ড. মল্লিক স্ট্রেস এর অনিবার্যতার কথা বলেন। উনি বলেন, “স্ট্রেস আছে। স্ট্রেস থাকবে। আসুন আমরা স্ট্রেস ম্যানেজ করি। সুন্দর জীবন কাটাই।”
    এরপরে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিএসএমএমইউ এর প্রো-উপাচার্য (এ্যাডমিনিস্ট্রেশন) অধ্যাপক ড. মোঃ শরফুদ্দীন আহমদ তার বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি গবেষক-দলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এবং স্ট্রেস এর ব্যাপকতা ফুটিয়ে তোলার জন্য একটি সুন্দর উদাহরণ দেন। উনি বলেন, “এই হাসপাতালে এখন দুই হাজার রোগী আছে। দুই হাজার রোগীর পাঁচ জন করে যদি ফ্যামিলি মেম্বার হয়, তাহলে কমপক্ষে এক লাখ। আর তাদের আত্মীয় স্বজন যদি হয় আরও এক লাখ। তাহলে এই হাসপাতালের কারণে মোট দুই লাখ লোক স্ট্রেস এ আছে।”
    পরবর্তীতে অনুষ্ঠানের অপর বিশেষ অতিথি বিএসএমএমইউ এর প্রো-উপাচার্য (রিসার্চ ও ডেভলাপমেন্ট) অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুল্লাহ শিকদার এই গবেষণা কার্যের গুরুত্বের কথা বলেন, “এটি খুবই কনজিনিয়াল একটা কাজ। এটি শুধু একটি কাজই নয়, এটি একটি একজাম্পল।”
    অনুষ্ঠানের এই পর্যায়ে গবেষক দলের সদস্যদের মাঝে শুভেচ্ছা স্মারক বিতরণ করা হয়। শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান। তিনি তার বক্তৃতায় বর্তমান দুনিয়ায় মানুষের স্ট্রেস এড়ানোর সুযোগ কমে যাওয়ার কথা বলেছেন। যত দিন যাবে, দুনিয়া আরও দ্রুতগতির হবে। সেই গতির সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য মানুষও ছুটবে। কিন্তু এই ছুটাছুটি থেকে একটু অবসর নিয়ে রিল্যাক্স হওয়ার প্রবণতা কমে গেলে, স্ট্রেস এর ক্ষতিকারক প্রভাব আরও বাড়বে। তিনি তাদের সময়কার ছাত্রজীবনের কথা স্মরণ করেন, তাদের সময়ে প্রচুর চাপ থাকা সত্ত্বেও তারা সাহিত্য পড়তেন। সিলেবাসের বাইরের বই পড়ার একটা চর্চা ছিল, যেটা কিনা তাদেরকে চাপমুক্ত থাকতে সাহায্য করত। কিন্তু বর্তমানে এই চর্চাটি অনেক কমে গেছে। উনি তার বক্তব্যে স্ট্রেস মুক্ত থাকার উপায় হিসেবে “হাই থিংকিং, সিম্পল লিভিং” এর গুরুত্বের কথা বলেছেন। উনি বলেছেন “শেয়ারিং” এর গুরুত্বের কথা। কর্ম পরিবেশ বন্ধুবৎসল হলে যে “ওয়ার্কলোড” এর চাপ কমে যায়, সে সম্পর্কে বলেছেন। প্রতিদিন কর্মক্ষেত্রে এসে, সহকর্মীরা যদি হাসিমুখে একে অপরের খোঁজ-খবর নেন, সেটা যে একটা ভীষণ মানসিক প্রশান্তি তৈরি করে, সে সম্পর্কে বলেছেন।
    বিএসএমএমইউ এর মনোরোগবিদ্যা বিভাগ এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ঝুনু শামসুন নাহার স্ট্রেস মোকাবিলার গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছেন। বলেছেন যে, “স্ট্রেস সবার জীবনেই আসে, কিন্তু সবাই একইভাবে রিএ্যাক্ট করে না। একেকজনের স্ট্রেস কোপিং একেক রকম। ….. যে যত ভালভাবে স্ট্রেস কোপ করতে পারবে, সে তত ভালভাবে জীবন যাপন করতে পারবে। সে রোগী হিসেবে সনাক্ত হবে না।” স্ট্রেস মোকাবিলার জন্য মনোরোগবিদ্যা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত নানা অনুষ্ঠান ও ওয়ার্কশপ এর কথা তিনি বলেন। তিনি উপস্থিত সকলকে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, যাদের অনুদানের বলে এই গবেষণাকার্যটি আলোর মুখ দেখেছে, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ প্রদান করে তার বক্তব্য শেষ করেন। বিএসএমএমইউ এর মনোরোগবিদ্যা বিভাগ এর অধ্যাপক ড. এম. এ. সালাম এর ধন্যবাদ জ্ঞাপক বক্তৃতার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের অবসান হয়।
    অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিএসএমএমইউ এর মনোরোগবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাহিদ মেহজাবিন মোর্শেদ ও গবেষণা সহকারী ড. মনিরুল ইসলাম গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ড. নাহিদ ঢাকা স্ট্রেস স্কেল এর প্রাপ্তবয়স্ক সংস্করণ ও ড. মনিরুল কিশোর সংস্করণ উপস্থাপন করেন।
    এর পরের পর্ব ছিল “প্রশ্নোত্তর পর্ব”। গবেষক দলের সকল সদস্য; অধ্যাপক হামিদা আক্তার বেগম, সেন্টার ফর সাইকো-সোশ্যাল রিসার্চ এন্ড ট্রেইনিং এর সভাপতি; অধ্যাপক ড. মোহিত কামাল, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ মেন্টাল হেল্থ এর অধ্যাপক ও বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অফ সাইকিয়াট্রিস্ট এর সাধারণ সম্পাদক; অধ্যাপক ড. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অফ সাইকিয়াট্রিস্ট এর সভাপতি; অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান; ইনাদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে এই পর্বটি বেশ জমে ওঠে। অধ্যাপক বেগমের চুলচেরা বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন এবং অধ্যাপক মল্লিক কর্তৃক সেই সব প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর, এদিকে আবার স্কেল নিয়ে অধ্যাপক মজুমদার ও অধ্যাপক বেগমের মধ্যকার মত বিনিময় ও সকলের আলোচনামূলক এই প্রশ্ন-উত্তর পর্ব দর্শক-শ্রোতাদের ভীষণ উপভোগ্যতা প্রদান করেছে।
    এরপরে মঞ্চে উপবিষ্ট হন অনুষ্ঠানের প্যানেল অফ এক্সপার্টঃ অধ্যাপক হামিদা আক্তার বেগম, অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানি (চেয়ারপার্সন, নিউরোডেভলাপমেন্টাল ডিজএ্যাবিলিটি প্রটেকশন ট্রাস্টি বোর্ড), অধ্যাপক ড. মোহিত কামাল, অধ্যাপক ফারুক আলম (ডিরেক্টর, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ), অধ্যাপক শাহীন ইসলাম (ডিপার্টমেন্ট অফ কাউন্সেলিং সাইকোলজি, ইউনিভার্সিটি অফ ঢাকা), অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার, ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল ড. মো আজিজুল ইসলাম (হেড অফ সাইকিয়াট্রি, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ), অধ্যাপক ড. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব (ডিপার্টমেন্ট অফ সাইকিয়াট্রি, বিএসএমএমইউ)।
    বিএসএমএমইউ এর মনোরোগবিদ্যা বিভাগ এর পক্ষ থেকে সকল প্যানেল অফ এক্সপার্ট কে উপহার প্রদান করা হয়। এবং উপহার প্রদান শেষে অধ্যাপক ঝুনু শাসমুন নাহারের সভাপতিত্বে এই প্যানেল এর সদস্যবৃন্দ ঢাকা স্ট্রেস স্কেল সম্পর্কে তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।
    প্রশ্নোত্তর পর্ব ও প্যানেল অফ এক্সপার্টদের আলোচনার মধ্য দিয়ে এই স্কেল এর যে সীমাবদ্ধতাটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে সেটা হল যথেষ্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ স্যাম্পল এর অভাব। কিন্তু যেমনটি অধ্যাপক হামিদা আক্তার বলেছেন, “কোন রিসার্চই পার্ফেক্ট রিসার্চ না এবং কোন স্কেলই পার্ফেক্ট স্কেল না। সব স্কেল এরই একটা সীমাবদ্ধতা থাকে। এবং এজ এ সাইন্টিস্ট, আমাদেরও কিন্তু এটা মেনে নিতে হবে। উই শ্যুড লার্ন ফ্রম এরর্স, দ্যান টু এভয়েড ইট।” ঢাকা স্ট্রেস স্কেল এখনও তার প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। এর আরও সংশোধন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন সংঘটিত হবে ভবিষ্যতে। আসবে নতুন নতুন সংস্করণ। কিন্তু আপাতত একান্তুই আমাদের একটি স্কেল ডেভলাপড হওয়ার খুশিতে আমরা গর্ব করতেই পারি!
    ফিরোজ শরীফ, প্রতিবেদক
    মনেরখবর.কম


    লক্ষ্য করুন- মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক খবর বা প্রেস রিলিজও আমাদের পাঠাতে পারেন। বৈজ্ঞানিক সেমিনার, বিশেষ ওয়ার্কশপ, সাংগঠনিক কার্যক্রমসহ মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোনো খবর পাঠাতে news@www.monerkhabor.com এই ইমেইলটি ব্যবহার করতে পারেন আপনারা।
     

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleআমেরিকার চার্লসটনে মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় নতুন সেন্টার
    Next Article কম্পালসিভ বাইং ডিজঅর্ডার: কেনাকাটা যখন মানসিক রোগ
    প্রতিবেদক, মনের খবর

    Related Posts

    সাইকিয়াট্রি বিভাগের জুলাই মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

    July 7, 2025

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025290 Views

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025203 Views

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 2021179 Views

    অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির উপায়

    August 22, 202183 Views
    Don't Miss
    কার্যক্রম July 7, 2025

    সাইকিয়াট্রি বিভাগের জুলাই মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

    বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) সাইকিয়াট্রি বিভাগের জুলাই মাসের বৈকালিক চিকিৎসাসেবা সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত সূচি…

    শিশুদের স্ক্যাবিস: ছোট্ট শরীরের বড় চুলকানি, প্রতিকার ও প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

    মনে রাখার বিভিন্ন পদ্ধতি

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.