একটা শিশু, পরিবারের প্রাণ। শিশুর ছুটে চলা, খুনসুটি সবই যেনো পরিবারের বেঁচে থাকার এক একটা উপাদান। তবে অনেক সময় দেখা যায় শিশুর জেদ বাড়তে থাকে যেটি অন্যের সামনে লজ্জার একটি কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কথায় আছে শিশুরা নরম কাঁদার মত যেভাবে গড়বেন ঠিক সেভাবেই বেড়ে উঠবে। তাই হাজার ব্যস্ততা থাকলেও নিজের শিশুকে সময় দিন।
শিশুর জিদকে গুরুত্ব নয়
শিশুর জিদকে প্রাধান্য দেবেন না। তার যুক্তিগ্রাহ্য ও বাস্তবসম্মত চাহিদা যথাসম্ভব পূরণ করুন। কিন্তু তার জিদকে গুরুত্ব দিতে থাকলে সে একসময় জিদনির্ভর হয়ে পড়বে। তখন সে করবে। শিশুর জিদকে অগ্রাহ্য করতে শিখুন।
শিশুর চাহিদা বুঝতে শিখুন
শিশু কি চাইছে, তা বোঝার চেষ্টা করুন। আপনার কাছে যেটা শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে, সেটা তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নাও হতে পারে। তাকে কাছ থেকে দেখুন।
শিশুর আচরণে হতবিহ্বল নয়
অনেক মা-বাবা শিশুর জিদের বহিঃপ্রকাশে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। ভয় পেয়ে যান। ভাবেন যেনতেন প্রকারেই হোক শিশুর কান্না থামাতে হবে, রাগ-জিদ কমাতে হবে। কিন্তু ভেবে দেখুন, ‘আপনি কি কেবল আজকের দিনের জন্য তার কান্না কমাতে চান, নাকি আপনি চান সে সারা জীবন জিদমুক্ত থাকুক।’
শিশুকে অন্য বিষয়ে মনোযোগী করুন
শিশুটি যে বিষয়ে জিদ করছে, সে বিষয় থেকে তাকে অন্যদিকে মনোযোগী হতে সাহায্য করুন।
নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন
শিশুর জিদ বাড়লেও আপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। শান্ত থাকুন। রাগ করবেন না, চিৎকার করবেন না।
শিশুকে ব্যাখ্যা দিন
শিশুকে কেন তার চাহিদার বস্তুটি দিচ্ছেন না, তা বুঝিয়ে বলুন। ব্যাখ্যা দিন। ব্যাখ্যাটি সে গ্রহণ করছে কি-না, সেটির চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আপনি ব্যাখ্যা দিচ্ছেন কি না।
শিশুকে ব্যঙ্গ করবেন না
শিশুর জিদ বা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে তাকে ব্যঙ্গ করবেন না।
শিশুকে গুণগত সময় দিন
শিশুর সঙ্গে খেলুন, তার সঙ্গে কথা বলুন। তাকে গুণগত সময় দিন।
কারণ জানার চেষ্টা করুন
অনেক সময় যৌন নির্যাতন, স্কুলে উত্ত্যক্ত হওয়ার ঘটনা, কারো দ্বারা প্রতিনিয়ত হুমকি পাওয়া, বীভৎসতা প্রত্যক্ষ করা ইত্যাদি বিষয় শিশুর জিদ বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ধরনের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে কি না যাচাই করুন।
প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
শিশুর জিদ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলে অথবা শিশুর মধ্যে যদি নিজের ক্ষতি করার প্রবণতা বা আত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষ করে থাকেন, তবে দেরি না করে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।