কেনিয়াতে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেই হয় কারাদণ্ড বা জরিমানা

কেনিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রতিদিন অন্তত চারজন আত্মহত্যা করছে। তা সত্ত্বেও বিষয়টিকে এখনো লজ্জার একটি বিষয় বলে মনে করা হয়, ফলে এই ঝুঁকিতে থাকা মানুষজনকে যথাযথ সেবাও দেয়া সম্ভব হয় না। এ ধরণের চেষ্টা যারা করে, উল্টো আইন করে তাদের শাস্তি দেয়া হয়।  দেশটির আইনি কাঠামোর কারণে এসব মানুষকে দরকারি স্বাস্থ্য সহায়তাও দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

দেশটির ফৌজদারি আইন অনুযায়ী, আত্মহত্যার চেষ্টাকে হত্যার মতো অপরাধের সাথে সংযুক্ত করে রাখা হয়েছে। এরকম চেষ্টাকারীদের কারাদণ্ড, জরিমানা বা উভয় দণ্ডই হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরণের ঘটনা এড়াতে এবং আত্মহত্যা ঠেকাতে সমাজের অন্যান্য ব্যক্তিদের এগিয়ে আনতে হলে এই আইন বদলানো দরকার।
নাইরোবির মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ক্যাথরিন মুতিসা বলছেন, ”আমি জানি, অপরাধের তালিকা থেকে আত্মহত্যার মতো বিষয় আলাদা করার পরিকল্পনা চলছে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া চলতে চলতে আইনটি অন্তত বদলানো যেতে পারে।”
”আসল কারণ হলো, এটাকে অপরাধ হিসাবে বিবেচনার কারণে অনেক মানুষ কোন চিকিৎসা পায় না। আমি যদি আত্মহত্যার চেষ্টা করি, আমি কারো সঙ্গে সেটি নিয়ে কথা বলতে পারবো না, সুতরাং আমি কোন চিকিৎসাও পাবো না। এর ফলে মানুষের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার সুযোগ কমে যাচ্ছে। যাদেরকে আত্মহত্যা করা থেকে হয়তো ঠেকানো যেতো, তাদেরকেও কোন সহায়তা দেয়া যাচ্ছে না।” বলছেন মিজ মুতিসা।
”কেনিয়ার অনেক প্রশাসক এবং বিচারক এখন মনে করছেন, এ ধরণের মানুষদের মানসিক সেবা দরকার এবং তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো উচিত।”
 

Previous articleশুধু জৈবিক তাড়না মানুষের যৌনতার জন্য যথেষ্ঠ নয়
Next article‘আত্মহত্যা ঠেকাতে’ ঢাবিতে ট্যুরের ওপর নিষেধাজ্ঞা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here