যখন মানুষ কষ্ট পায়, তখন তারা ভেবে নেয় যে, অন্য কেউ তাদের ব্যাথা অনুভব করতে পারবে না। সহানুভূতিশীল হওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, আমরা যে আসলেই অন্যের কষ্টগুলো তার মতো করে অনুভব করতে পারি না, সেটা স্বীকার করে নেয়া। আমরা অনেকে হয়ত তখন তাকে সান্ত্বনা দিয়ে থাকি নিজেদের মতো করে।
একজন মানুষকে বোঝার গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো ,তার অনুভূতিগুলো বোঝা, যা তার অঙ্গভঙ্গি বা কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। কিছু বিষয় তাকে বোঝা আরো সহজ করতে পারে, যেমনঃ আমি তার অবস্থা সম্পর্কে বুঝতে পারছি, সেটা তাকে বোঝানো, তাকে আরো কিছুক্ষণ কথা বলতে উৎসাহ দেয়া, তার অনুভুতিগুলো যে মূল্যবান, সেটা তুলে ধরা, তার কথায় সাড়া দেয়া ইত্যাদি।
অনেক সময় আমরা যা চিন্তা করি, তার বিপরীতও হতে পারে। এটা ব্যক্তির সাথে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করে। যদি কারো মতামত কম গুরুত্ব পায়, তাহলে হয়তো সে ধরে নেবে যে, তার মতামত গুরুত্বপূর্ণ নয়। তখন সে হীনম্মন্যতায় ভুগবে। তাই এমন কিছু করা উচিত হবে না, যেগুলো তার মধ্যে এ ধরনের ধারণা তৈরি করে। যেমনঃ তাকে উপদেশ না দেয়া, নিজের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি তার সাথে আলাপ না করা, তার অনুভূতিকে গুরুত্বহীনভাবে না দেখা ইত্যাদি। কারণ উচিত–অনুচিত কাজগুলো পূর্বে করা–না করা নিয়ে সে নিজেকে অপরাধী ভাবতে শুরু করবে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে , প্রত্যেকের নিজস্ব উপলব্ধিই তার কাছে বাস্তবতা বা সত্য। এখানে কোনো সঠিক বা ভুল কিংবা ভালো বা খারাপ নেই।
আমরা এটা দেখতে পারি যে, একটা সম্পর্কের মধ্যে কি কি আমাদের নিয়ন্ত্রণে বা কোন কাজগুলোর জন্য আমরা দায়বদ্ধ। এটা অবশ্যই আশা করা উচিত না যে, অন্য কেউ আমার মন বুঝতে পারবে বা তার বোঝা উচিত! অন্যদের উপর আমরা ক্ষমতাহীন, কিন্তু নিজের কাছে নয়। আমাদের নিজস্ব পছন্দ আছে এবং আমরাই আমাদের সিদ্ধান্তগুলো নিয়ন্ত্রণ করি।
সাইকসেন্ট্রাল থেকে ভাষান্তর: সাদিয়া আফরোজ শামস
তথ্যসূত্র:
https://blogs.psychcentral.com/anger/2018/02/tactics-for-a-better-relationship-how-to-fuel-empathy-and-cooperation/
উত্তম সম্পর্কের কৌশল প্রেরণা, সহমর্মিতা ও সহযোগিতা
Previous Articleসবসময় ইতিবাচক চিন্তাও নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে