ডা. ফয়সাল রাহাত
ফেইজ বি রেসিডেন্ট, এমডি (সাইকিয়াট্রি), মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বিএসএমএমইউ।
বর্তমান যুগে আমাদের জীবন সোশ্যাল মিডিয়াময়। সব বয়সের মানুষই কম-বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকেন। কেউ প্রয়োজনে বা কেউ অবসর কাটাতে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বিচরণ করেন। ২০২৩ সালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪.৯ বিলিয়ন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব ছিলেন! অন্যান্যদের মতো মেডিক্যাল স্টুডেন্টরাও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই।
দূরে অবস্থান করা বন্ধু-স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুরুত্ব অনেক। পেশাগত পরিচিতি বা বাণিজ্যিক প্রসারেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশ উপযোগী। তবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের কিছু অপকারিতাও আছে। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাকাডেমিক ঘাটতিতে সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক প্রভাব আছে বলে মনে করা হয়।
অ্যাকাডেমিক ফলাফলে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব
মেডিক্যাল স্টুডেন্টদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে সোশ্যাল মিডিয়া কেমন প্রভাব ফেলে তা নিরূপণে ভারতে একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়। ২০১৮- ২০১৯ সালে Cross sectional পদ্ধতিতে চলা এ গবেষণায় ৪০০ জন আন্ডারগ্র্যাড মেডিক্যাল ছাত্র-ছাত্রীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে ১৮৭ জন পুরুষ ও ২১৩ জন নারী।
গবেষণায় দেখা যায়, ৪১.৫ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী দৈনিক গড়ে ১-৩ ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকেন। যারা তুলনামূলকভাবে খারাপ ফলাফল করেছেন, তাদের মধ্যে ৬১.২ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী দৈনিক ৩ ঘণ্টার বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিলেন।
খারাপ ফলাফলকারীদের সাথে ভালো ফলাফলকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের তুলনা করে p value পাওয়া যায় ০.০২, যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। অর্থাৎ, সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহার পরীক্ষার ফলাফলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এক্ষেত্রে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের ফলাফল বিপর্যয় বেশি ছিল।
অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক কিছু জানা যায়। আবার এর অতিরিক্ত ব্যবহারই অ্যাকডেমিক জ্ঞানার্জনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
- এপয়েন্টমেন্ট নিতে এখানে ক্লিক করুনঃ APPOINTMENT
আরও দেখুন:
আরও পড়ুন: