অবসর কখন নেওয়া উচিত?

জীবিকার প্রয়োজনে কাজের প্রয়োজন। তারুণ্য থেকে সেই কর্মময় জীবনের শুরু হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বার্ধক্যে পৌঁছার পূর্ব পর্যন্ত সেই কাজে লেগে থাকতে হয়। তবুও টানা কাজের মাঝে মানুষের জীবনে অবসর প্রয়োজন। যা মানুষকে সুস্থ এবং মানসিকভাবে প্রশান্তি দান করতে পারে।

কিন্তু অবসর কি সবসময় মধুর হয়? প্রশ্নটা বড় আপেক্ষিক হয়ে যায়। উত্তরে তাই ভিন্নমত থাকার সম্ভাবনা বেশি। কিন্ত দীর্ঘ সময়ের জন্য অবসরে চলে যাওয়া লাগলে? সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় অবসরটা মধুর হয় না। কারণ লম্বা সময় ধরে অলস থাকাটা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। কেবল অবসর যাপনের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হলে সেক্ষেত্রে বিষয়টি সুখকর হয় না। আর তাই সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন পার করার জন্য মানুষকে সুবিধামতো অবসরও যেমন নেওয়া উচিত একইভাবে কাজের প্রতিও মনযোগ রাখা উচিত।

কর্মময় জীবনের ব্যস্ততা শেষে অবসর সময়ের প্রথম কিছুদিন জীবন রঙিন মনে হয়। দিনের শুরুতে মাথায় কোনো কাজের চাপ থাকে না। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সময় কাটানোর মতো অফুরন্ত সময় পাওয়া যায়। এমনকি মন চাইলে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সময় কাটানোর মতো যথেষ্ট সময় মেলে। তবে সেই আনন্দ বেশিদিন স্থায়ী হয় না। মানুষের জীবন বৈচিত্র্যময়। আর সেখানে একঘেয়েমি চলে আসলেই স্বাভাবিকত্ব হারিয়ে যায়। সময়টা বড় পানসে হয়ে ওঠে।

তাই অবসর জীবনে প্রবেশের পরেও কাজের ক্ষেত্র খোঁজার প্রয়োজন হয়। নিজেকে ব্যস্ত রাখার উপায় বের করে নিতে হয়। তবে সেই ব্যস্ততায় উপার্জনের মতো ভারিক্কি কাজ না রাখলেও চলে। যদিও আর্থ সামাজিকভাবে যারা স্বচ্ছল তাদের ক্ষেত্রেই বিষয়টি সহজ। যারা নিজেদের অবস্থার উন্নয়ন শুরুতে করতে পারে না। তাদের জীবনে আলাদা করে অবসর শব্দটি আসার সুযোগ খুব কমই থাকে।

অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেকে চাকুরীর বয়স শেষ হয়ে গেলেও উপার্জনের পথ আগেই খুঁজে নিচ্ছে। যাতে হুট করে কোনো অসুবিধায় পড়তে না হয়। এক্ষেত্রে সেসব মানুষের টানা কাজের একটা ক্লান্তি রয়ে যায়। এটিও মানসিক ভাবে তাদের যথেষ্ট সুখকর পরিস্থিতি দেয় না। জীবন চলার ক্ষেত্রে তাই অবসরটাও খুব প্রয়োজন। তবে এটি জরুরী নয়, কেবল বার্ধক্যে উপনীত হলেই এটা নেয়া যাবে। নিজেকে চাঙ্গা রাখার জন্য, মানসিকভাবে সুস্থ থেকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য মাঝে মাঝে অবসর প্রয়োজন।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

“মনের খবর” ম্যাগাজিন পেতে কল করুন ০১৮ ৬৫ ৪৬ ৬৫ ৯৪
Previous articleট্রাফিক জ্যাম, মানসিক স্বাস্থ্যে কীরুপ প্রভাব ফেলে!
Next articleবয়স্ক মানুষের মৃত্যুভয় ও প্যানিক অবস্থা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here