একটি সুন্দর ও প্রকৃতপক্ষে অর্থপূর্ণ সম্পর্ক দুজন সঙ্গীর মধ্যে পারস্পরিক মনস্তাত্ত্বিক মিথস্ক্রিয়ার ফলেই সৃষ্টি হয়। আর এক্ষেত্রে একে অপরের প্রতি যত্নশীল হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ কিছু ছোট ছোট কৌশল নিয়ে আলোচনা করব যার সাহায্যে খুব সহজেই একজন সঙ্গী বুঝতে পারবে যে অপর জন তার প্রতি যত্নশীল কি না।
প্রত্যেক মানুষই এটা প্রত্যাশা করে যে তার সঙ্গী তার খেয়াল রাখবে, সব ধরণের প্রয়োজনে তার পাশে থাকবে। সুখে এবং দুঃখে সব সময়ই তাদের সম্পর্ক একইভাবে মজবুত এবং দৃঢ় থাকবে। গৃহস্থালির কাজ থেকে শুরু করে উপার্জন, সংসার পরিচালনা, সন্তান সন্ততির লালন পালনে দুজন সমান অংশীদার হবে। সুখের সময় যেমন একে অপরকে গুরুত্ব দিয়ে একে অপরের সুখ ভাগ করে নিয়েছে তেমনি চরম মানসিক চাপের মাঝেও একে অপরের মানসিক শক্তির আধার হয়ে উঠবে, এটাই হয় প্রত্যেকটা মানুষের স্বপ্ন। এভাবে একজন সঙ্গী তার কাছের মানুষের মনকে বুঝতে পারে কিনা এবং সুখে দুঃখে যত্ন এবং ভালোবাসায় বেঁধে রাখবে কিনা এটা বুঝে ওঠবার জন্য মনস্তত্ত্ববিদ গণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে কিছু কৌশল উদ্ভাবন করেছেন। নিচে সেগুলো তুলে ধরা হল।
১) কথা শোনার মানসিকতা আছে কিনাঃ
আপনার যে কোন পরিস্থিতি বা মনের কথা সঠিকভাবে বোঝার জন্য আপনার সঙ্গীর উচিৎ আপনার সব কথা মনোযোগের সাথে শোনা। তাই এটা অবশ্যই লক্ষ্য করুন যে, আপনার সঙ্গী আপনার সব কথা মনোযোগ সহকারে শোনে কিনা।
২) আপনার মত এবং ইচ্ছের প্রতি আগ্রহ দেখায় কি নাঃ
ভিন্ন ভিন্ন মত প্রতিটা মানুষের সরল বৈশিষ্ট্য। একের সাথে অপরের মতের অমিল হতেই পারে কিন্তু এক্ষেত্রে ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা একজন ব্যক্তির সু চরিত্রের মাঝেই পড়ে। আর সঙ্গীর কাছে নিজের মতের প্রতি সম্মান প্রত্যাশা করা সবারই সার্বিক অধিকার। আর একজন উত্তম সঙ্গী, যিনি তার সঙ্গীর প্রতি সহানুভূতিশীল এবং যত্নবান, তিনি কখনোই নিজের মত অন্যের উপর চাপিয়ে দেবেন না। বরং সমান সম্মান এবং আগ্রহ দেখাবেন।
৩) আপনার মন কতোটা বোঝেনঃ
নিজেদের মাঝে মনস্তাত্ত্বিক বোঝাপড়া থাকা দাম্পত্য জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। তাই এটা অবশ্যই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করুন যে, আপনার সঙ্গী আপনার মন কতোটা বোঝেন বা বোঝার প্রয়াস করেন।
৪) আপনার প্রয়োজনকে নিজের প্রয়োজন মনে করেন কিনাঃ
একজন সঙ্গীর সব থেকে বড় গুণ সহানুভূতিশীলতা। আপনার সঙ্গী যদি আপনার সমস্যাকে নিজের সমস্যা এবং প্রয়োজনকে নিজের প্রয়োজনের মতো করেই উপলব্ধি করেন তবে অনুধাবন করে নিতে হবে যে তিনি আপনার প্রতি যত্নবান।
এছাড়াও, দৈনন্দিন জীবনে একে অপরের পাশে থেকে সব সমস্যা মোকাবেলা করে যে দম্পতী সামনে এগিয়ে যেতে পারে তারাই প্রকৃত সুখী এবং একে অপরের প্রতি দায়বদ্ধ ও যত্নশীল। সম্পর্ককে অর্থপূর্ণ করতে সঙ্গীদের একে অপরের প্রতি অর্থপূর্ণ বোঝাপড়া থাকা জরুরী। আর একে অপরের প্রতি সহানুভূতি এবং যত্নশীলতা সম্পর্ককে চরম দুঃসময়েও দৃঢ় থাকার শক্তি
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে