সারাদিন বাড়িতে বসে থাকা, অফিসের কাজ আর তার থেকে খানিক ফুরসত বের করে ঘরকন্নার সমস্ত কাজ। এই রুটিন যদি টানা তিন সপ্তাহ ধরে চালিয়ে যেতে হয়, তা হলে মাথা জ্যাম হয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক! কারণ মাথা খাটানোর, নতুন নতুন চিন্তাভাবনা করার জন্য যে ফাঁকা সময়টুকু দরকার, লকডাউনে তার বড়োই অভাব! ফলে নিজেকে প্রোডাকটিভ রাখা কঠিন। ইচ্ছে না থাকলেও গতানুগতিকতার চক্করে ফেঁসে যাওয়াই মনে হয় যেন ভবিতব্য!
কিন্তু ভবিতব্য ধরে বসে থাকাও কি আর যায়! তাই সময়ের টানাটানি সত্ত্বেও শান দিতেই হবে বুদ্ধিতে। আর বুদ্ধি ঘষেমেজে ঝকঝকে করে রাখতে পারলে তবেই বাড়বে প্রোডাকটিভিটি, আর তবেই আপনার কাজ বাকিদের থেকে আলাদা করে চোখে পড়বে!
কিন্তু কীভাবে বাড়াবেন নিজের প্রোডাকটিভিটি? চোখ বুলিয়ে নিন ঝট করে!
নতুন আইডিয়া ভাবুন
যত ব্যস্ততাই থাক, মাথাটা সচল রাখার চেষ্টা করুন। কাজের ফাঁকে চেষ্টা করুন স্বাধীনভাবে ভাবনাচিন্তা করার। চোখকান খোলা রাখলে এমনিই প্রচুর নতুন আইডিয়া মাথায় আসবে। সেগুলোকে দরকার মতো মডিফাই করে কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন।
এক্সপেরিমেন্ট করতে ভয় পাবেন না
এমন একটা অদ্ভুত সময় হয়তো জীবনে আর আসবে না। চেষ্টা করুন তা পুরো উসুল করতে। নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে ভয় পাবেন না। হয়তো সব কিছু ঠিকঠাক হবে না, কিন্তু যেটুকু হবে তাও কম নয়। সবচেয়ে বড়ো কথা হল আপনার উৎসাহের পারদটা চড়ে থাকবে।
ফোকাস ঠিক রাখুন
যে কাজটাই করবেন, তা সে ঘরের কাজ হোক বা অফিসের, প্রথমেই ঠিক করে নিন কাজটার সবচেয়ে কঠিন অংশ কোনটা। প্রথমেই সেই কঠিন অংশটার মোকাবিলা করুন, পুরো মনোযোগ দিয়ে সেই অংশটুকু করে নিন। বাকিটা খুব দ্রুত হয়ে যাবে। এভাবে আপনার সময়ও অনেকটা বাঁচাতে পারবেন।
মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন
প্রোডাকটিভ থাকার জন্য শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে সুস্থ থাকা দরকার। তাই পুষ্টিকর খাবার খান, ভালো করে ঘুমোন। মনের উপর চাপ পড়তে দেবেন না। মনে রাখবে আপনি একা নন, পৃথিবী শুদ্ধু মানুষ এই অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।
কিছুটা সময় নিজের জন্য রাখুন
সারাদিনের মধ্যে অন্তত আধঘণ্টা সময় বের করুন শুধু নিজের জন্য। এই সময়টা মোবাইলে বা নেটে চোখ না রেখে ভালো বই পড়ুন, গান শুনুন, বা জানলা দিয়ে আকাশ দেখুন। মন ভালো থাকবে, কাজের নতুন এনার্জি পাবেন।