দেশের অন্যতম বহুল পঠিত মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন ‘মনের খবর’ এর ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। অন্যান্য সংখ্যার মতো এবারের সংখ্যাটিও একটি বিশেষ বিষয়ের উপর প্রাধান্য দিয়ে সাজানো হয়েছে। এবারের সংখ্যায় প্রাধান্য পাওয়া বিষয়টি হলো ‘ডিভাইসের ব্যবহার’। এবারের ম্যাগাজিনে ডিভাইসের ব্যবহার বিষয়ক লেখার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে লিখেছেন দেশের খ্যাতনামা মনোরোগ বিশেষজ্ঞগণ।
যা রয়েছে “মনের খবর” ফেব্রুয়ারি সংখ্যায়–
“প্রাত্যহিক জীবনে ডিভাইসের ব্যবহার” শিরোনামে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন লিখেছেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. আব্দুল মতিন।
“ভয়াবহ পর্যায়ে ডিভাইস আসক্তি” শিরোনামে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন লিখেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মুনতাসীর মারুফ।
“শরীর ও মনের ওপর মোবাইল, কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের প্রভাব” শিরোনামে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন লিখেছেন নওগাঁ মেডিক্যাল কলেজের মানসিক রোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. মাসুদ রানা সরকার।
বিশেষ সাক্ষাৎকার বিভাগে রয়েছে “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিভাইস ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা ও গুরুত্ব” শিরোনামে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাক্ষাৎকার।
“পর্ন ও ডিভাইস আসক্তি নিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধ নাকি চিকিৎসা কোনটা জরুরি?” শিরোনামে মানসিক রোগ বিভাগে লিখেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাতেমা জোহরা।
“ডিভাইস ব্যবহারে অভিভাবকদের কোথায় সচেতন হতে হবে?” শিরোনামে শিশুমন ও অভিভাবকত্ব বিভাগে লিখেছেন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু-কিশোর ও পারিবারিক মনোরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. টুম্পা ইন্দ্রাণী ঘোষ।
“ডিভাইস আসক্তি: ধ্বংস করছে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য” শিরোনামে মাদকাসক্তি বিভাগে লিখেছেন ঢাকার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহানা পারভীন।
“পর্নোগ্রাফি” শিরোনামে যৌন স্বাস্থ্য ও সম্পর্ক বিভাগে লিখেছেন ঢাকার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাইকিয়াট্রি বিভাগের এমডি ফেইজ-বি রেসিডেন্ট ডা. আসাদুল বারী চৌধুরী অমি।
“ডিভাইস নির্ভর বিনোদন বনাম আউটডোর গেমস” শিরোনামে ক্রীড়া ও মন বিভাগে লিখেছেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. পঞ্চানন আচার্য্য।
“অতিরিক্ত ডিভাইস ব্যবহারে শিশুরা দেরিতে কথা বলতে শেখে” শিরোনামে গবেষণা বিভাগে লিখেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের ফেইজ বি রেসিডেন্ট ডা. ফয়সাল রাহাত।
“চিকিৎসা সচেতনতায় ইন্টারনেট ব্যবহারের উপকারিতা ও অপকারিতা” বিষয়ে মনোসামাজিক বিশ্লেষণ বিভাগে কথা বলেছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যক্তিবর্গ।
এছাড়াও মনের খবর ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় পাঠকরা টিপস বিভাগে পাবেন “মোবাইল কীভাবে স্বাস্থ্য বিষয়ক রুটিন তৈরিতে সাহায্য করতে পারে?” শিরোনামে মাহজাবিন শান্তা’র লেখা।
রয়েছে অধ্যাপক ডা. আব্দুস সোবহানের মৃত্যুতে ভার্চুয়াল শোকসভা নিয়ে একটি টিভি কন্টেন্ট।
তাছাড়া, দেশের খবরের পাশাপাশি প্রতি সংখ্যার মতো এই সংখ্যায়ও বিভিন্ন জটিল বিষয়ে পাঠকের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন দেশের খ্যাতনামা মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞগণ।