আপনি যদি চাপের মধ্যে থাকেন, তবে সেটা নিয়ে আপনার বাসায় প্রবেশ ঠিক হবে না। কারণ, আপনার এই মানসিক চাপ পরিবারের অন্যদের উপরও প্রভাব ফেলবে বলে গবেষকরা জানান। গবেষনায় জানানো হয়, মানসিক চাপ মস্তিষ্কের গঠনে কিছুটা পরিবর্তন করে। এই পরিবর্তন কাছাকাছি থাকা অন্য মানুষকেও ক্ষতি গ্রস্থ করে।
কয়েক জোড়া ইঁদুর নিয়ে গবেষনা একটি করা হয়েছে। সেখানে প্রত্যেক জোড়া থেকে একটি করে ইঁদুর সরিয়ে বাকি ইঁদুরদেরকে মৃদু পরিমাণে চাপের মধ্যে রাখা হয়। এরপর সেগুলোকে তাদের জোড়ার সাথে দেওয়া হয়। সেখানে তাদের ব্রেইন এর পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। সেখানে দেখা যায়, চাপযুক্ত ইঁদুরটির হিপক্যাম্প্যাসের নিউরনে পরিবর্তন হয়েছে যা কিনা ব্রেইনের স্মৃতি ও আবেগের কাজ করে। পরে সঙ্গী ইঁদুরটির ব্রেইনের পরিবর্তন লক্ষ্য করলে দেখা যায় তারও হিপক্যাম্প্যাসের নিউরনে পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু সে চাপযুক্ত ছিল না, সঙ্গীর সংস্পর্শে আসায় এমনটা হয়েছে।
গবেষকদের মতে, এই পরিবর্তনের কারণ হচ্ছে চাপযুক্ত ইঁদুর সংকেত পাঠানোর জন্য ‘পিউটাটিভ অ্যালার্ম ফিরোমনি’ ব্যবহার করে। কিন্তু ব্রেইন এর নিউরনের পরিবর্তন কিভাবে হয় সেটা এখনও অজানা।
মানসিক চাপের এই পরিক্রমা ইঁদুর ও মানুষের ক্ষেত্রে অনেকটা একই রকম। এমনকি ইঁদুরের যেই সেলগুলো নিয়ে অনুসন্ধান করা হয়েছিলো সেগুলোর হরমোনজনিত পরিবর্তন, মানুষের ক্ষেত্রে এক রকম।
একটা ভালো সংবাদ হচ্ছে যে, এই প্রভাবটি পরিবর্তন যোগ্য অন্ততপক্ষে স্ত্রী জাতীয় ইঁদুরের ক্ষেত্রে।
যদি চাপযুক্ত ইঁদুরের মেয়ে সঙ্গীটিকে অন্যান্য ইদুরের সঙ্গে রাখা হয়, তবে ঐসব ইঁদুরের হিপোক্যাম্প্যাসের বিপরীত পরিবর্তন হয়। পারস্পারিক যোগাযোগ তাদের মানসিক চাপের ‘ব্রেইন অ্যালারটিং ইফেক্টকে’ মুছে ফেলে। কিন্তু পুরুষ ইঁদুরের ক্ষেত্রে এটা হয় না। তারা যতটা ইঁদুরের সাথে যোগাযোগ করে, সবার মধ্যেই চাপের প্রভাব বিস্তার করে। মানুষ যখন মানসিক চাপের সম্মুখীন হয়, তখন তা আমাদের উপরও প্রভাব ফেলে। কিন্তু আমরা সেটাকে বুঝতে চেষ্টা করি না।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে