লকডাউন পরবর্তী মানসিক চাপ এড়াতে প্রয়োজনীয় কিছু কার্যকরী টিপস

লকডাউন পরবর্তী মানসিক চাপ এড়াতে প্রয়োজনীয় কিছু কার্যকরী টিপস। ছবি ইন্টারনেট

লকডাউন পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক জীবনে দৈনন্দিন কাজে ফিরে অনেকের মাঝেই দেখা দিয়েছে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা। নিচে এগুলি দূর করতে কার্যকরী কিছু টিপস তুলে ধরা হল।

কভিড-১৯ মহামারীর এই দুঃসময়ে সারা পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ মারা গেছে। এই মহামারীর সাথে লড়াই করতে আমরা নিজেদের গৃহবন্দী করে রেখেছি অনেকটা সময়। কিন্তু জীবনের স্বাভাবিক গতি বজায় রাখতে এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ধীরে ধীরে সেই অচলাবস্থা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হচ্ছে। অনেক দেশেই লকডাউনসহ অনেক বিধি নিষেধ শিথিল করা হয়েছে। তবে শঙ্কার বিষয় হল করোনা ভাইরাস এখনো আমাদের আক্রান্ত করছে এবং এখনো প্রতিদিন অনেক মানুষ এই মহামারীতে মৃত্যু বরণ করছে। আর এক্ষেত্রে কিছুটা মানসিক স্বস্তির সঞ্চার করেছে করোনা টিকা প্রদান কর্মসূচী যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এই সব কিছু মিলে লকডাউন পরবর্তী জীবনে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষের মাঝে মানসিক চাপ বিরাজ করছে যা তাদের স্বাভাবিক জীবনকে বিপর্যস্ত করছে। নিচে এ সমস্যা মোকাবেলায় কিছু কার্যকরী টিপস প্রদান করা হল-

১। সঠিক সংবাদ জানার প্রয়াস করা

ভুল বা নেতিবাচক সংবাদ বেশি শুনলে মন থেকে কখনোই করোনা ভীতি যাওয়া সম্ভব নয়। তাই অতি মাত্রায় নেতিবাচক সংবাদসহ এমন সংবাদ এড়িয়ে যাবার প্রয়াস করা উচিৎ। সঠিক সংবাদ আমাদের মনে সাহসের সঞ্চার করে এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি না করে সুরক্ষিত থাকতে অনুপ্রাণিত করবে।

২। জীবনের স্বাভাবিক ছন্দের প্রতি মনোযোগী হওয়া

আপনি যদি লকডাউন শেষে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেও শুধুমাত্র নেতিবাচক পরিস্থিতি নিয়েই বেশি ভাবেন তাহলে মানসিক চাপ, ভীতি, উদ্বিগ্নতা এগুলি কখনোই কমবে না। তাই স্বাভাবিক জীবনে সুস্থ হয়ে বাঁচার দিকে মনোযোগী হন। এতে মানসিক চাপসহ অন্যান্য সমস্যা কমবে।

৩। মানসিক সমস্যা হলে চেপে না রাখা

মানসিক চাপ সহ যেকোন মানসিক সমস্যা চেপে রাখলে সেটি আরও বেশি নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। তাই সমস্যার কথা চেপে না রেখে বন্ধু, পরিবারের লোকজন বা কাছের কাউকে খুলে বলুন। এতে করে মানসিক  সমস্যাগুলি সহজে দূর হয়ে যাবে।

৪। ধৈর্য ধারণ করা

করোনা মহামারী আমাদের কারও নিজস্ব সৃষ্টি নয়। পূর্ণরূপে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে আমাদের অনেকটা সময় প্রয়োজন হবে। তাই অধৈর্য না হয়ে, ধৈর্য ধারণ করে ধীরে ধীরে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার প্রয়াস করুন। এতে অবশ্যই মানসিক চাপ ধীরে ধীরে কমে আসবে।

৫। পছন্দের কাজ করা

মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে পছন্দের বিভিন্ন কাজ যেমন, কবিতা পড়া, গান শোনা, ছবি আঁকা, গাছের পরিচর্যা করা সহ অন্যান্য আনন্দদায়ক কাজ গুলো করুন। এতে মানসিক চাপ আপনাকে কষ্ট দিতে পারবেনা এবং মন প্রফুল্ল থাকবে।

এসব কাজ ছাড়াও, শরীর চর্চার মতো মানসিক প্রশান্তিদায়ক কাজগুলি করলে আমাদের মন থেকে ধীরে ধীরে করোনা সংক্রান্ত উদ্বিগ্নতা কমে আসবে। এসব কাজ আমাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতেও সহায়তা করবে।

সাইক্রেগ থেকে  অনুবাদ করেছেনঃ প্রত্যাশা বিশ্বাস প্রজ্ঞা

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে  

 

“মনের খবর” ম্যাগাজিন পেতে কল করুন ০১৮ ৬৫ ৪৬ ৬৫ ৯৪
Previous articleজাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের আলোচনা সভা
Next article কোভিডকালীন বাস্তবতা কেমন হবে অভিভাবকত্ব

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here