শরীরচর্চা আর খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও অনেক বিষয় দেহের ওপর প্রভাব ফেলে। এর মধ্যে অন্যতম মানসিক অবস্থা।
ওজন কমানোর দুই হাতিয়ার হল শরীরচর্চা ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, যা একে অপরের পরিপূরক। তবে অনেকসময় সবকিছু ঠিক মতো মেনে চলার পরও ওজন কমতে চায় না, যা অত্যন্ত হতাশাজনক।
মানসিক সমস্যার কারণেও ওজন কমানোর চেষ্টাগুলো ব্যর্থ হতে পারে। তাই ওজন কমানোর যাত্রা হুট করে শুরু করে ফেললে হবে না, তার জন্য মানসিকভাবেও প্রস্তুত হতে হবে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল ওজন কমানোর পথে মনস্তাত্তিক অন্তরায়গুলো সম্পর্কে।
লক্ষ্য হতে হবে অর্জনযোগ্য: ওজন কমাতে গিয়ে অধিকাংশ মানুষ যে ভুল করেন তা হল অবাস্তব লক্ষ্যস্থির করা। যেমন- মাত্র এক সপ্তাহে পাঁচ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলা কোনো স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে সম্ভব নয়। তাই লক্ষ্য যদি এমন অবাস্তব হয় তবে হতাশই হবেন, হারাবেন আগ্রহ। ওজন কমানোর পেছনে ব্যয় করার মতো সময় আর কর্মশক্তি কতটুকু আছে সেটা আগে যাচাই করতে হবে। আর সে অনুযায়ী লক্ষ্যস্থির করতে হবে।
ফাঁকি দেওয়ার অজুহাত: আলসেমি ওজন কমানোর পথে একটি বড় বাধা। প্রতিদিনই যদি শরীরচর্চা বাদ দেওয়া বাহানা খুঁজে বের করেন, আলসেমি করে খাদ্যাভ্যাসের বাইরের খাবার খেতে থাকেন তবে ফলাফল হবে শূন্য। ভালো কিছু পেতে হলে তার জন্য পরিশ্রম করতে হবে। ওজন কমানো এর ব্যতিক্রম নয়। ওজন কমাতে চাই অধ্যাবসায় ও ধারাবাহিক পরিশ্রম।
আত্মবিশ্বাসের অভাব: নিজের ওপর ভরসা রাখতে হবে, অন্যথায় ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা বজায় রাখা দুষ্কর হয়ে দাঁড়াবে। ওজন যতই বেশি হোক না কেনো সবসময়ই কোনো না কোনো উপায় আছে তাকে স্বাস্থ্যকর মাত্রা নামিয়ে আনার। আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে হবে এবং লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যেতে হবে।
মানসিক চাপ: বর্তমান যুগে মানসিক চাপ নিত্যসঙ্গী, যা সহ্যের বাইরে চলে গেলে ওজন কমানোর চেষ্টা আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ মানসিক চাপ সামলানোর জন্য অস্বাস্থ্যকর সুস্বাদু খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়বেন। পাশাপাশি বাড়বে মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী হরমোনের মাত্রা যা ওজন কমানো আরও কঠিন করে তুলবে।