এখানে একটি সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনা উল্লেখ করতে চাই।
বিএসএমএমইউ বহিঃবিভাগে আমাদের শিক্ষকের সাথে রোগী দেখছি। প্রথমে ইতিহাস জানার জন্য ডাকলে রোগিণীর সঙ্গে দুইজন পুরুষ ঢুকলেন, একজন বিশের ঘরের আর একজন চল্লিশের কাছাকাছি।
রোগীর কাছে আমি জিজ্ঞাসা করার সময় বলতে চাইলাম মনোরোগ বিভাগে কেন দেখাতে এসেছেন। তখন বিশের ঘরের ভদ্র লোক ইশারা ইঙ্গিতে আমাকে এভাবে কথা বলতে নিষেধ করতেছেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কেন। উত্তরে বললেন উনার তো কোন মানসিক রোগ নেই, অন্য ডাক্তার সাহেবরা এখান থেকে দেখিয়ে যেতে বলেছেন তাই নিয়ে এসেছি; আপনি মানসিক রোগ বিভাগের কথা কেন বলছেন?
তারপর আমি রোগীর সাথে কথা বলার স্বার্থে উনাকে বাইরে যেতে বললাম। উনি যাওয়ার সময় বারবার করে জিজ্ঞাসা করলেন আমি ইন্টার্নি ডাক্তার কিনা এবং বলে গেলেন ইন্টার্নি ডাক্তারতো এখনও বুঝে পারে নাই, কীভাবে রোগীর সাথে কথা বলতে হয়।
রোগীর সাথে কথা বলার পর জানতে পারলাম ভদ্র মহিলা বিগত দুই বছর যাবত অনেক ডাক্তার দেখিয়েছেন অনেকেই বলেছেন মানসিক রোগের ডাক্তার দেখাতে উনি দেখাননি এবং ওষুধ খেয়ে কোন উপকারও পান নাই। বুজিয়ে বলে চিকিৎসা দেওয়া হল। রোগী বাইরে যাওয়ার মিনিট দুয়েক পরে ওই লোকটি আবার এলেন এবং পরিচয় দিলেন তিনি ঢাকার কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষারত।
প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। মনের খবরের সম্পাদকীয় নীতি বা মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই মনের খবরে প্রকাশিত কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না কর্তৃপক্ষ।