স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের উদ্যোগে রাজধানীতে চালু রয়েছে বিশেষ শিশুদের জন্য ফিটনেস প্রোগাম। এই প্রোগ্রামে বিশেষ শিশুদের ফিজিক্যাল ফিটনেসের জন্য বিভিন্ন ধরনের শরীর চর্চা করানো হয়, যা তাদের মানসিক বিকাশে সহায়ক বলে জানান স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশ এর ডিরেক্টর ফারুকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আজ পর্যন্ত কোন বিজ্ঞান মানসিক প্রতিবন্ধকতার কারণ বের করতে পারেনি। তবে গবেষণা করে দেখা গেছে কেবল মাত্র শারীরিক ভারসম্যতা আনা গেলে এসব স্পেশাল চাইল্ডদের মানসিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখে। শারীরিক সক্ষমতা আনা গেলে তাদেরকে মূল ধারায় ফেরানো সম্ভব হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে শুক্রবার সকালে দৌঁড়াচ্ছে একঝাঁক বিভিন্ন বয়সী শিশু। যাদের প্রত্যেকেরই রয়েছে শারীরিক ও বুদ্ধিবিত্তিক সমস্যা। তাদের সবার একসাথে মিলে ফিজিক্যাল ট্রেনিং করা দেখে চোখ জুড়াবে যে কারোরই।
এবিষয়ে ফারুকুল ইসলাম বলেন, আমাদের সমাজে বাবা মায়েরা লোকলজ্জার ভয়ে বিশেষ শিশুদের আলাদা করে রাখেন। যা তাদের জীবনকে আরো বেশি হুমকির মধ্যে ফেলে দেয়। তাদেরকে যদি বাইরে স্বাভাবিক পরিবেশে মিশতে দেওয়া হয় তবে তারা সমাজকে বিশেষ কিছু দিতে পারে। আর সেই ভাবনা থেকে স্পেশাল অলিম্পিকের আয়োজনে বিশেষ শিশুদের জন্য এই ফিটনেস প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামের আওতায় এপর্যন্ত সাত হাজার বিশেষ শিশুকে ফিটনেস ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।
মিরপুর থেকে আসা একজন মা জানান, এখানে আসলে আমার বাচ্চাটি আরো অনেক বাচ্চার সাথে মিশে বেশ হাসিখুশি থাকে। তখন ওকে দেখে আমার মনেই হয় না যে ও অস্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশ এর ফিটনেস প্রোগ্রামে শিশুদের ফিটনেস ট্রেনিং প্রতি শুক্রবার সকাল ৭টা-৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রোগ্রামের জন্য ষি নেওয়া হয় না। শুধু ছবি ও একটি ফরম পূরণ করেই এই প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে বলে জানান ফিটনেস প্রোগ্রাম এর কো-অর্ডিনেটর রাজীবুল ইসলাম পুলক।
ভর্তি ও অন্যান্য তথ্যের জন্য যোগাযোগঃ রাজীবুল ইসলাম পুলক-(০১৭৪৯ ২৯১৮১৪)