হঠাৎ করেই করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশে৷ হাসপাতালগুলোতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে৷ আইসিইউ শয্যার সংকট দেখা দিচ্ছে৷ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরাও৷
শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ১৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন৷ মারা গেছেন ১২ জন৷
দুই মাসের ব্যবধানে বুধবার (১০ মার্চ) প্রথমবারের মতো শনাক্তের সংখ্যা হাজারের ঘরে পৌঁছায়৷ এদিন এক হাজার ১৮ জন শনাক্ত হয়েছেন৷ ১১ মার্চ এক হাজার ৫১ জন, ১২ মার্চ শনাক্ত হন এক হাজার ৬৬ জন৷
বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ হার ছিলো গত জুলাই মাসে৷ এ পর্যন্ত মাস হিসেবে মোট সংক্রমণের ২২ দশমিক ৪৬ ভাগ হয়েছে ওই মাসে৷ আর গত ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বনিম্ন দুই দশমিক ৮২ ভাগ সংক্রমণ হলেও এখন তা আবার বাড়ছে৷ চলতি বছরের মার্চ মাসের প্রথম সাত দিনেই তা চারভাগ ছাড়িয়েছে৷
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় হাসপাতালগুলোতে চাপ বাড়ছে৷ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের আইসিইউগুলোতে আসন সংকট দেখা দিচ্ছে৷ মাত্র এক সপ্তাহের ব্যাবধানেই বড় ধরনের এই পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন চিকিৎসকরা৷ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ’র প্রধান ও অ্যানেস্থেসিওলজি অধ্যাপক ডা. শাহজাদ হোসাইন মাসুম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘পরিস্থিতি আবার খারাপের দিকে যাচ্ছে৷ আমরা নিজেরাই নতুন পরিস্থিতিতে হতভম্ব৷ এটা যে টিকা আসার পর মানুষ গাছাড়া দিয়েছে শুধু সেই কারণেই হচ্ছে তা আমার মনে হয় না৷ তাহলে তো আগেই হতো৷’’
তিনি মনে করছেন করোনার নতুন কোন ধরনের বিস্তার ঘটছে৷ সেটি হতে পারে বাইরে থেকে এসেছে অথবা বিদ্যমান ভাইরাসই নিজেকে বদলে আরো শক্তিশালী হয়েছে৷
তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘‘আমাদের সামাজিব দূরত্ব অবশ্যই বজায় রাখতে হবে৷ টিকার কারণে গাছাড়া দিলে হবে না৷ আর মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে৷ জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে৷’’
তিনি জানান, করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার দুই সপ্তাহ পর তা কার্যকর হয়৷ প্রথম ডোজ নিয়েই শরীরে কোভিড প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই৷ কাজেই টিকা নিয়েই নিশ্চিত হওয়া বা স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করা ভয়ংকর বলে উল্লেখ করেন এই চিকিৎসক৷
সূত্র: ডয়চে ভেলে।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে