মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ফিজি অ্যালায়েন্স গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে কর্মশালা করার পরিকল্পনা করছে যাতে জনসাধারণের সদস্যদের মানসিক অসুস্থতার প্রাথমিক চিহ্ন সনাক্ত করতে সহায়তা হয়। এটি ভ্যালুয়িং ভয়েসেস প্রোগ্রাম এর তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হবে। এই প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করছে ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং অর্থের যোগান দিচ্ছে ইইউ।
এফএএমএইচ কমিটির সদস্য মারিসিয়া করোইটানোয়া বলেন যে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই ধরণের কর্মশালা করা হলে তারা শুধু মানসিক স্বাস্থ্যের প্রাথমিক লক্ষণ গুলো সম্পর্কে অবগত হবে তাই নয় বরং তারা প্রাথমিক ভাবে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিলে কি করা যেতে পারে, কি ধরণের চিকিৎসা এবং সমর্থন প্রয়োজন তা তারা জানতে পারবে। তিনি আরও বলেন, “দ্যা ভ্যালুয়িং ভয়েসেস প্রকল্প টি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মতামতকে উজ্জীবিত করার উপর আলোকপাত করে, যেন তাদের কণ্ঠস্বর আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারে”।
মিসেস করোইটানোয়া আরও বলেন, “আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর এমন অনেক প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাত পেয়েছি যারা তাদের দলটিকে অনুন্নত মনে করে। এই অনুদানটির মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য আশীর্বাদ স্বরুপ”।
সংস্থাটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীদের সাথে এই ধরণের কর্মশালা সঠিকভাবে করার জন্য স্কোসোকো ভাকামারামা ইতাউকেই এই প্রতিষ্ঠানটির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
এফএএমএইচ প্রতিনিধি থেলমা নাবুকাভু বলেন যে মহিলা এবং এমন যে কোন ব্যক্তি যার সাহায্য দরকার তার জন্য তাদের জন্য নিরাপদ স্থান তৈরি করা জরুরি। তিনি বলেন, “আমরা মহিলাদের জন্য একটু আলাদা নিরাপদ স্থান তৈরি করতে চাই যেখানে তারা তাদের ব্যক্তিগত কাহিনীগুলো আমাদের জানাবেন। তারা তাদের কাহিনীগুলো বাস্তব এবং যথাযথভাবে আমাদের জানাবেন যেন আমরা তাদের যে ধরণের সমর্থন দরকার তা প্রদান করতে পারি। কেননা আমরা মনে করি এই যে তাদের কাহিনী গুলোই গ্রামীণ মানুষের কাহিনী যা আসলে শুনা হয় না”।
এফএএমএইচ কমিটি কিছু মাসের মধ্যেই কর্মশালা গুলো সফলভাবে করার জন্য বুয়া, রা এবং নামোসিয়া সম্প্রদায় গুলো পরিদর্শন করার আশা করছে।
তথ্যসূত্র-
(http://www.fijitimes.com/story.aspx?id=408471)
কাজী কামরুন নাহার, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম