ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি বিভাগে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিভাগের শিক্ষকদের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে মোট ৪৪টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি বিভাগে মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাইকিয়াট্রি বিভাগের শিক্ষক ও ট্রেইনিদের মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক প্রদান করে শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং চিকিৎসাসেবার গুণগত মান বৃদ্ধি করা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ সাইকিয়াট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. নূর আহমেদ গিয়াসউদ্দিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্পনসর প্রতিষ্ঠান সান ফার্মাসিউটিক্যালস (বাংলাদেশ) লিমিটেড-এর হেড অফ মার্কেটিং সালেহা বেগম নীলা, সংশ্লিষ্ট এরিয়া ম্যানেজার মি. জুলফিকার এবং মেডিকেল ইনফরমেশন অফিসারগণ। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভাগীয় শিক্ষক ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের হাতে এডাল্ট সাইকিয়াট্রি, চাইল্ড সাইকিয়াট্রি, মেডিসিন, সাইকোলজি, ক্লিনিক্যাল মেথডস, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট সাইকিয়াট্রি, কেস বেজড লার্নিং এবং প্রেস্ক্রাইবার’স গাইডলাইন ইত্যাদি বিষয়ের উপরে ২৪ টি পুস্তক বিতরণ করা হয় এবং সাইকিয়াট্রি বিভাগের বিভাগীয় লাইব্রেরির জন্য প্রদত্ত ২০ টি বই গ্রহণ করেন ডা. নূর আহমেদ গিয়াসউদ্দিন এবং অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। এতে সাইকিয়াট্রি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিস্তার ও রোগ নির্ণয় দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিভাগীয় লাইব্রেরিও এতে সমৃদ্ধ হয়েছে।
এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. নূর আহমেদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, ”আমরা এই বই বিতরণের সময় লক্ষ্য রেখেছি যে বইগুলো শিক্ষকরা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করেন সেগুলো তাঁদের দেয়ার চেষ্টা করতে এবং বিভাগীয় লাইব্রেরিতে সংরক্ষণ করতে। শিক্ষার্থীদের দেওয়ার সময়ও একইভাবে লক্ষ্য রাখা হয়েছে ভাল ক্লিনিশিয়ান হতে যে বিষয়গুলো জানতে হয় সেগুলো বিষয়ের বই তাদের দিতে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এভাবে তাদের প্রয়োজনীয় বই হাতে পাওয়ায় শিক্ষকগণ এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উভয় পক্ষই বই পড়ার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত বোধ করবেন। এছাড়াও বিভাগীয় লাইব্রেরিতে বই সংরক্ষণ হওয়ায় প্রয়োজন হলেই রেফারেন্স বইগুলো সব চিকিৎসক পড়তে পারবেন।” এই অনুষ্ঠানটি নিঃসন্দেহে সাইকিয়াট্রি শিক্ষায় একটি ইতিবাচক অগ্রগতি নির্দেশ করে। বইগুলো শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের পঠনপাঠনের সুবিধা নয়, চিকিৎসা অনুশীলনের ক্ষেত্রেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে। স্পনসর প্রতিষ্ঠান ও একাডেমিক বিভাগের সমন্বয়ে এমন উদ্যোগ চিকিৎসা শিক্ষার উন্নয়নে একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে। ভবিষ্যতে আরো নিয়মিতভাবে এ ধরনের কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হলে এর কার্যকারিতা বহুগুণে বাড়বে বলে আশা করা যায়।
আরও পড়ুন-