ছেলে সন্তান জন্মদাত্রী মায়েরা বেশী অবসাদে ভোগেন। এ সময় প্রদাহও বাড়ে। পুরুষ ভ্রূণ এবং জন্ম জটিলতা অভিজ্ঞতা দুইয়ের ফলেই প্রদাহ বৃদ্ধি পায়। সাম্প্রতিক এ গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
কেন্ট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই গবেষণা করে। জার্নাল অফ সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিনে গবেষণা প্রতিবেদনটি ছাপা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, যে নারীরা পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তাদের জন্ম পরবর্তী বিষণ্ণতায় (পিএনডি) গড়ে ৭১ থেক ৭৯ শতাংশ বেশী ভোগেন।
যে নারী জন্ম দেওয়ার সময় সমস্যার মধ্য দিয়ে গেছেন তাদের অন্যদের তুলনায় ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি বিষণ্ণতার অভিজ্ঞতা থাকতে পারে। এই অবস্থার সম্ভাবনাগুলি ৭৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যখন নারীরা শিশুকন্যার থেকে বেশী ছেলে শিশুর জন্ম দিয়েছেন।
গবেষণাটি করেন ড. সারাহ জনস ও ড. সারাহ মায়ার। তাদের পরিসংখ্যান অনুসারে, ছেলে শিশুর জন্ম এবং জন্মের সময়ের জটিলতা উভয়ই ঝুঁকি বাড়ায়। সময়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিষণ্ণতা, উদ্বেগ এবং চাপের উপসর্গ আছে এমন নারীর ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই বিষণ্ণতার ঝুঁকি বেশি, তবে জন্মের জটিলতার সম্মুখীন হওয়ার পরে তাঁদের ক্ষেত্রে উদ্বেগের বিকাশ হ্রাস পেয়েছিল।
সম্ভবত এসব নারীরা জন্মের পরে আরও বেশি সমর্থন পাওয়ার কারণেই তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উদ্বেগ নিয়ন্ত্রিত ছিল।
গবেষক ড. সারাহ জনস বলেন, বিষণ্ণতা এমন একটি রোগ যা এড়ানো যেতে পারে এবং অতিরিক্ত সহায়তা এবং যত্ন এর বিকাশের সম্ভাবনা কমিয়ে তুলতে পারে। ছেলেশিশুর জন্মের ফলে বা জন্মকালীন জটিলতার পরিস্থিতি এলে স্বাস্থ্য অনুশীলনকারীদের প্রয়োজন ওই নারীকে প্রথম কয়েক সপ্তাহ এবং পরে কয়েক মাস অতিরিক্ত সমর্থন ও যত্ন যোগানো। তাতে ওই নারীরা বিশেষভাবে উপকৃত হন।
পুরুষ ভ্রূণ এবং জন্ম জটিলতা অভিজ্ঞতা দুইয়ের ফলেই প্রদাহ বৃদ্ধি পায়। যদিও এখনো পর্যন্ত এই গবেষণায় বিষণ্ণতার সঙ্গে এর সম্পর্ক অস্পষ্ট। বিষণ্ণতার উপসর্গগুলি অনেক সময়ই প্রদাহ সক্রিয়করণের সঙ্গে জড়িত।
সূত্র : এনডিটিভি।