অল্প তেলের, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া ভালো৷ কিন্তু টেবিলে একদম তাজা চিকেন-স্যালাড বা বার্গার থাকার পরও যদি আপনি ক্যালরির হিসেব কষেন, ভাবেন এতে কতটা প্রোটিন, ফ্যাট বা কার্বোহাইড্রেট আছে, তাহলে সেটাকে কী বলে জানেন কি?
স্বাস্থ্যকর খাবার-দাবারের প্রতি এই অস্বাভাবিক ‘অবসেশন’ বা তীব্র আকর্ষণ এর পোশাকি নাম – ‘অর্থোরেক্সিয়া’৷ এটা একরকম মনের অসুখ৷ এই রোগ হলে সব সময়ই আপনার মনে হবে ‘এই বুঝি অস্বাস্থ্যকর কিছু খেয়ে ফেললাম’, ‘এই বুঝি একটু বেশি খেয়ে ফেললাম’৷ অথবা ‘এই বুঝি শরীরের জন্য খারাপ এমন কিছু আমার পেটে চলে গেল’, ‘এমন কিছু, যা আমার শরীরের জন্য একেবারে নতুন’৷
কথায় বলে, টাকা বাড়লে নাকি টাক বাড়ে৷ হ্যাঁ, অর্থের সাথে রোগের একটা সম্পর্কের কথা বলে থাকেন অনেকেই৷ এর মধ্যে হয়ত কিছুটা কল্পনা আছে, তবে আছে কিছু বাস্তবতাও৷ অর্থোরেক্সিয়ার ক্ষেত্রেও নাকি এমনটাই হয়েছে৷
কারণ এই রোগে আক্রান্তরা সাধারণত উচ্চবিত্ত৷ অর্থাৎ অরগ্যানিক বা একেবারে নির্ভেজাল খাবার কেনার সামর্থ তাদের আছে৷ এরা সস্তা, প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবারে ছুঁয়েও দেখেন না৷ এমনকি একটু বেশি তাপমাত্রায় রান্না করা খাবার দেখলেও তারা নাক সিটকান৷ একটু বেশি তাপমাত্রায় যে খাবারের উপকারী উপাদানগুলো নষ্ট হয়ে যায়! শুধু তাই নয়, তারা খাবার গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করেন না, ব্যাবহার করেন না প্লাস্টিক বা অ্যালুমিনিয়ামের থালা-বাসনও৷
পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, খাওয়া নিয়ে এ রকম লক্ষণ দেখা দিলে তার অবিলম্বে চিকিৎসা করানো দরকার৷ তাদের কথায়, অশোধিত খাবার থেকে দূরে থাকা বা অরগ্যানিক খাবার খাওয়া খারাপ তো নয়-ই, বরং সত্যিই স্বাস্থ্যকর৷ কিন্তু এটা পাগলামির পর্যায়ে চলে গেলেই বিপদ, কারণ, এমনটা চলতে থাকলে এই অতিরিক্ত খাদ্যসচেতন মানুষগুলো বেছে বেছে খেতে খেতে একটা সময় কম খেতে শুরু করেন৷ ফলে তাদের ওজন কমতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তারা সত্যিই অসুস্থ হয়ে পড়েন৷
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে