- সারা বিশ্বব্যাপী চলছে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। আর এ ভাইরাস মোকাবেলায় প্রতিদিনই আমাদের কোন না কোন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যার কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই চলছে লকডাউন। আর এ ভাইরাস প্রতিরোধের প্রধান উপায় হচ্ছে বাসায় অবস্থান করা, জনসমাগমে না যাওয়া।
কারণ এ ভাইরাস বহন করা এক ব্যক্তি থেকে আরেক জনকে আক্রান্ত করে বা আক্রান্ত ব্যক্তির ধরা জিনিসপত্র থেকেও ছড়ায়। কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য কখনো না কখনো কোন সময় বাসা থেকে বের হতেই হচ্ছে। বাজার থেকে আনতে হচ্ছে প্রয়োজনীয় জিনিস। কিন্তু বাজার থেকে আানা জিনিসগুলোতে যে জীবানু থাকবে না, এমনটা তো নয়। সেখানেও একটা উদ্বেগ বা আশংকা বিষয় রয়েছে।
এ ভাইরাস ছড়ানোর একটা বড় উৎস হতে পারে বাজার। বাজার থেকে আমরা যেসব জিনিস কিনছি, তা আমরা নাড়াচাড়া করে কেনার আগে অনেক জনই হয়তো নাড়াচাড়া করেছে। যে টাকা দিচ্ছি বা নিচ্ছি সেসব টাকা আরো কয়েকজন এর কাছ থেকে ঘুরে এসেছে। আমরা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে থাকি, এটিএম মেশিন থেকে টাকা তুলে থাকি সেখানেও মেশিনের বোতামে অনেক জনেরই হাত পড়েছে। আবার বাজারে মানুষের ধারে কাছে দাঁড়ানো, এসব প্রতিটি ক্ষেত্র থেকেই যে কেউ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে।
তাই এসব জায়গায় যাওয়ার আগে, আবার ঐসব জায়গা থেকে ফিরে এসে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, কাঁচা শাকসবজি, মাছ-মাংস,ফলমূলের ক্ষেত্রে ও ঝুঁকি থাকে। এগুলো সব কিছু ভালো করে ধুয়ে ব্যবহার করা উত্তম। আর প্লাস্টিকের প্যাকে, টিন বা কাঁচের পাত্রে জিনিস কিনে আনলে তা ৭২ ঘন্টা না ছুঁয়ে সরিয়ে রাখা অথবা জীবানুমুক্ত করার তরল পদার্থ দিয়ে মুছে নিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
অনেক সময় আমরা বাজারে লোকের ভিড় এড়িয়ে চলার জন্য অনলাইন শপগুলো থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, খাদ্য সামগ্রী নিয়ে থাকি, এক্ষেত্রে ও কিছু না কিছু ঝুঁকি থেকে যায়। অনলাইন শপ থেকে যারা ডেলভারি দিয়ে যায়, তাদের মাধ্যমে, তাদের দেয়া ব্যাগ বা বাক্স থেকে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
এসব সব কিছুই ভাবার বিষয়। আর এসব সব কিছু ধরা বা ছোঁয়ার আগে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু থেকেই খাবারের জিনিসের উপর ও নিয়ম কানুন মেনে চলার ব্যাপারে সর্তকতা অবলম্বন করে চলার নির্দেশ দিয়ে আসছে। প্রতিটি কাঁচা জিনিস রান্নার আগে ভালোমতো ধুয়ে, ভালোমতো সিদ্ধ করে রান্না করে খাওয়ার কথা বলে আসছে। ভিটামিন -সি জাতীয় খাবারের কথা বলা হচ্ছে। এছাড়াও সব রকম পুষ্টিকর খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
সুতরাং সকলের সচেতনতাই পারে এই ভাইরাসের সাথে মোকাবেলা করতে। আর এজন্য প্রয়োজনীয় সর্তকতা মেনে চলাই সর্বোচ্চ উত্তম।
লিখেছেন: সৈয়দা মুমতাহিনাহ সোনিয়া