করোনা ভাইরাস নিয়ে মানুষের মনে আতংক আর হতাশা একরকম বাসা বেধে রেখেছে। এরকম পরিস্থিতির মধ্যে যদি পরিবেশের অন্যান্য ক্ষতিকর বিষয়ের প্রকোপ বেড়ে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে হতাশা সাধারণ মানুষের জীবনে এক নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়াবে।
এমনি এক বিষয় হচ্ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়া। চারদিকে করোনা মহামারী রূপ নিয়ে বিস্তার করছে। তার মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার আংশকায় আছেন সাধারণ মানুষ। এ মশার কামড়ে অনেক সময় মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হয়। গতবছরে এর কারণে অনেকে তাদের প্রিয়জন হারিয়েছে।
করোনাকালীন সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়া মানসিক চাপকে বৃদ্ধি করা। ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার আশংকায় বিশেষজ্ঞরাও আশংকায় আছেন। করোনায় সংক্রমিত কোন ব্যক্তিকে ডেঙ্গু জ্বর হলে বা ডেঙ্গু জ্বরে ভোগা কোন ব্যক্তি করোনায় সংক্রমিত হলে হয়তো ভয়াবহ এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
চিকিৎসকদের হয়তো নতুন আরও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। চিকিৎসা সেবা দিতে তাদেরও হিমসিম খেতে হবে। এমনিতে করোনা মোকাবেলার যুদ্ধে চিকিৎসকরা হিমসিম খাচ্ছে। তার উপর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়লে সেটা আরও ভয়াবহ রূপ ধারন করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার মৌসুম চলছে এখন, আর এটা দমনে এখনই কোন পদক্ষেপ না নিলে হাসপাতালে রোগী বাড়ার ভয়াবহতা থামানো যাবে না।
এসকল আতংক সাধারন মানুষকে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন করছে। এসব উদ্বিগ্নতা মানসিক চাপকে বাড়িয়ে ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব ফেলছে। শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিকভাবে সুস্থ থাকাটাও কঠিন হয়ে পড়ছে। করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গুর বিষয়ে সচেতন থাকাটাও এখন জরুরি। ডেঙ্গু মশা নির্মূলে প্রয়োজনিয় পদক্ষেপ নিতে হবে, বাসার ভিতরে, বাড়ির চারপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
ডেঙ্গু মশা র্নিমূলের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধের স্প্রে দিতে হবে। এসব কাজ পরিচ্ছন্ন কর্মী দ্বারা করানো হয়, কিন্তু এখন এসব কাজ করতে গিয়ে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ভয় ও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের আতংকগ্রস্ত করছে। কিন্তু সবকিছুর পরেও সকলের সর্বোচ্চ সচেতনতার মাধ্যমে এসকল বাধা অতিক্রম করতে হবে, মানসিকভাবে দৃঢ় থাকতে হবে।
লিখেছেন: সৈয়দা মুমতাহিনাহ সোনিয়া