মরণঘাতী করোনা ভাইরাস এর কারণে মানব সভ্যতা এখন এক বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করছে। সম্ভবত আমাদের এই প্রজন্মের কাছে এটি সবচেয়ে বড় সংকট। আর এই সংকট আমাদের ভবিষ্যৎ পৃথিবীর গতিপথ, চরিত্র সব বদলে দিতে পারে। আর এ বদলে যাওয়াটা শুধু এক দিক থেকে নয়, আর্থিক, স্বাস্থ্যগত, মানসিক এবং সাংস্কৃতিক বিভিন্ন দিক থেকে হতে পারে। তেমনি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাদের হাত ধরে দেশ, জাতি এগিয়ে যাবে, তাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার গতিপথও বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
অন্যান্য সবার মত ছাত্র -ছাএীদের কাছেও এক হতাশার নাম করোনা ভাইরাস। তেমনি একজন শিক্ষার্থী মিম , যার এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগেই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
মিম, সে তারপরীক্ষার ব্যাপারে জানায়, পরীক্ষার প্রস্তুতি ছিল যথেষ্ট ভালো। একটা ভালো ফলাফলের প্রত্যাশায় সে প্রস্তুতি নিচ্ছিল, যাতে ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার মাধ্যমে নিজের স্বপ্ন পূরনের পথ সহজ করে নিতে পারে। এরকম অনেক পরীক্ষার্থী রয়েছে যাদের স্বপ্ন পূরনের বাধা হয়ে দাড়িয়েছে এই মরণঘাতী করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাস যেভাবে ঝড়ের মতো বিস্তৃতি পাচ্ছে, তা কবে থামবে তাদের জানা নেই, হয়তো কারোরই জানা নেই। মিমের মতে, যেভাবে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল, পড়াশুনা যেভাবে করতে পেরেছিল, সেটা ধরে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়াটা একটা পযার্য়ে হয়তো তার জন্য কঠিন উঠবে।
কারণ এ পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা কারোরই জানা নেই। মিমের মতে তার জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিবাহিত হচ্ছে কিছুটা হতাশার মাধ্যমে। মিমের ধারণা তার মতো সকল পরীক্ষাথীরই মনের মধ্যে হয়তো হতাশার জায়গা তৈরি হচ্ছে। যদিও মিম অনলাইনে তার শিক্ষকদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে পড়াশোনাটা আগের মতো চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সাপোর্ট দিচ্ছে। এতে মিম সাহস পাচ্ছে, পজিটিভ ভাবে সবকিছু মেনে নিয়েই নিজেকে সামলে রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু কথা হচ্ছে, মিমের মতো পরীক্ষার্থী যারা আছে, সবাই কি পরিবার থেকে সাপোর্ট পাচ্ছে? নিজেদের পড়াশোনা টা আগের মতো করে করতে পারবে তো? সবার মানসিক অবস্থার ধরন তো আর এক নয়। মিম তার পরেও আশা রাখছে এই পরিস্থিতি থেকে সবাই একদিন বের হয়ে আসবে, ভালো পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল করবে। সে তার স্বপ্ন পূরণের দিকে হাটবে। করোনা ভাইরাসের এ ঝড় একদিন থামবেই।
লিখেছেন: সৈয়দা মুমতাহিনাহ সোনিয়া